রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘বাণিজ্যিক যুদ্ধ’ : রুশ প্রধানমন্ত্রী
বাংলাট্রিবিউন : রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ?যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ। বুধবার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা অনেকদিন ধরেই চলবে এবং খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বুধবার সকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করেন। ফলে বিলটি এখন আইনে পরিণত হয়েছে। কংগ্রেস সদস্যরা প্রায় সর্বসম্মতভাবে বিলটির পক্ষে ভোট দেওয়ায় ট্রাম্পের অবশ্য এক্ষেত্রে অন্য কোনও ভালো বিকল্প ছিল না। কারণ বিলটি কংগ্রেসে প্রেসিডেন্টের ভেটো আটকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট সংখ্যক কংগ্রেসম্যানের সমর্থন পেয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞার মূল উদ্দেশ্য, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখলের ঘটনা। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে এসব ঘটনায় রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় মার্কিন কংগ্রেস।
অবশ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে সহায়তা করার জন্য রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগটি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন ট্রাম্প। মেদভেদেভ বলেন, এই আইনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের অক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে। মেদভেদেভ বলেছেন, ‘এই যে বিলটিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সই করলেন, এতেই স্পষ্ট হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের গুরুত্ব আসলে কতটা।’
রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে পুরোপুরি অপদস্থ করেছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া অবশ্য বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার পরেও তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে যাবে। তিনি বলেন, ‘আমি আজকাল সত্যিই এই ভেবে বিস্মিত হই যে, দুনিয়ায় এমন কোনো ইস্যু কি আছে যেটি নিয়ে আপনি রাশিয়াকে অভিযুক্ত করতে পারবেন না! কিন্তু আমরা খিটখিটে শিশুর মতন নই এবং চারিদিকে যা কিছু ঘটে তার সকল কিছু দিয়েই আমরা বিরক্ত বোধ করি না। আমাদের সহযোগীদের সঙ্গে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও, আমরা কাজ করতে উপায় খুঁজবো।’
নিজের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না শাহবাজ
বাংলাট্রিবিউন : সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের শূন্য আসনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপ-নির্বাচনে তার ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ প্রার্থিতা পেলেও নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। বুধবার (২ আগস্ট) পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের ইস্যু করা একটি আচরণবিধির আওতায় তাকে নির্বাচনি আসন পরিদর্শন ও প্রচারণায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওই আচরণবিধিকে উদ্ধৃত করে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন খবরটি জানিয়েছে।
গত ২৮ জুলাই সম্পদের তথ্য গোপন করার দায়ে সুপ্রিমকোর্টে নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন তিনি। জাতীয় পরিষদের ১২০ নম্বর আসনটি ছিল নওয়াজের। লাহোরের ওই শূন্য আসনে ১৭ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আচরণবিধি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ওই আচরণবিধিতে বলা হয়, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, সিনেটের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান, স্পিকার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী, গভর্নর, মুখ্যমন্ত্রী, প্রাদেশিক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা, জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং সরকারের অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা কোনও নির্বাচনি এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারবেন না। প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে তারা কোনও অনুদান দিতে পারবেন না কিংবা এ ধরনের অনুদানের প্রতিশ্রুতিও দিতে পারবেন না। তাছাড়া কোনও প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে ওই এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্প শুরুর ঘোষণাও দেওয়া যাবে না এং নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করা যাবে না।’
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের শূন্য আসনটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন না ছোট ভাই শাহবাজ শরিফ। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিবেচনাকে আমলে নিয়ে তিনি ওই আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মনে করছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ