২৬১ পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ জানানোর আহ্বান নৌ-মন্ত্রীর
আনিসুর রহমান তপন : পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানসহ ২৬১ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন। গতকাল বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করে সংগঠনের তথ্য অনুসন্ধান কমিটির আহবায়ক মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম।
তালিকা প্রকাশ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহ্বায়ক ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূল ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করেছে। বিচার শেষে ৬ জন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। আরো অনেকগুলো মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নৌ-মন্ত্রী বলেন, বর্বর পাক সেনাদের বিচার ত্বরান্বিত করা এবং তাদের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৩৫ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লড়াইয়ে সকলকে এক হতে হবে। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতাকে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত গোষ্ঠী যাতে এদেশে আর কোন দিন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
১৯৭১ সালে পাক হানাদার ও তাদের এদেশীয় দোসর-রাজাকার-আলবদরদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ ও ঘৃণা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযুদ্ধের সময় যে নৃশংস হত্যাকা-, ধর্ষণ ও লুট করেছে সেজন্য এখনো তারা বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চায়নি। তাদেরকে অবশ্যই তাদের অপকর্ম ও নৃশংসতার জন্য বাংলাদেশের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
অনুষ্ঠানে মাহাবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম জানান, ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্য যারা যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত তাদের বিচারের দাবিতে ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। পালিয়ে যাওয়া পাকিস্তানি সৈন্য ও সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারের কাছে ২১ দফা দাবি ও প্রস্তাব জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
২৬১ জনের মধ্যে ৪৩ জন সিনিয়র পাকিস্তানি জেনারেল, মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং দুই-একজন বেসামরিক কর্মকর্তার নামও রয়েছে বলে জানান তিনি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ