হজযাত্রায় জটিলতা সৃষ্টি করেছে হজ এজেন্সিগুলো : ধর্মমন্ত্রী
তরিকুল ইসলাম সুমন : চলতি বছর হজ এজেন্সিগুদের কারণেই হজযাত্রীদের ভিসা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আসলে ব্যাপারটা হল এজেন্সি, এজেন্সি যদি বিলম্ব না করত তাহলে এত কিছু হত না।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে এক্সট্রিম অ্যাকশন নেব। ফাইন, লাইসেন্স, জরিমানা- এ সমস্ত নিয়ম অনুযায়ী যেগুলো নিতে পারি, সেই ব্যবস্থা নেব। কারো প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করব না। তবে পরিস্থিতি যত জটিলই হোক, শেষ পর্যন্ত সবাইকে হজে পাঠানো হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, হজ যাত্রীদের ভিসা জটিলতা প্রতিবারই হয়, তার সমাধানও করা হয়। ইনশাল্লাহ, আমি আশাবাদী ঠিক করতে পারব। আশা রাখি, সবাইকে হজ করাব ইনশাল্লাহ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সৌদি আরবে ৭২০ রিয়ালে মোয়াল্লেম ঠিক করার কথা থাকলেও এখন দেড় হাজার থেকে ১৯০০ রিয়াল বাড়তি লাগায় হজ এজেন্সিগুলো বিপাকে পড়ে যায়। পরে তাদের কিস্তিতে বাড়তি টাকা শোধ করার সুযোগ দেওয়ায় আপাতত সমস্যার সমাধান হলেও সেজন্য হজযাত্রীদের বাড়তি অর্থ গুণতে হবে। এ ধরনের যাত্রীর সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ হাজার হলেও এর প্রভাব পড়ছে অনেকের ওপর। পরিবারের একজনের ক্ষেত্রে এমন হলে অন্যদের যাওয়ায় আটকে থাকছে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, এছাড়া এবারের হজযাত্রীদের মধ্যে যারা ২০১৫-১৬ সালেও হজ করেছেন, ভিসার জন্য তাদের বাড়তি ২ হাজার রিয়াল (৪৪ হাজার টাকা) করে দিতে হবে, যা আগে জানানো হয়নি। এটি পুনর্বিচেনার জন্য সৌদি সরকারকে লিখেছি, আলোচনা চলছে। মোয়াল্লেম ফি মওকুফ না হলে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
সৌদি সরকারের কোটা অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত ৯৭ হাজার ১৪০ জন হজযাত্রীর জন্য সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ভিসার আবেদন করা হলেও ভিসা পেয়েছেন ৫২ হাজার ৬০০ জন। যারা ভিসা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩২ হাজার ৫০৪ জন সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, বাকি ২০ হাজার ৯৬ জন এখনও সৌদি যাওয়ার অপেক্ষায়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ