আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন শেখ রেহানা ও জয়॥
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা মাঠের রাজনীতিতে ততটা সরব না থাকলেও আগামীতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। তবে সেই নির্বাচনে তিনি গোপালগঞ্জ থেকেই অংশ নেবেন না কি অন্য কোনো আসন থেকেÑ তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়েরও সম্ভাবনা রয়েছে রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে অংশ নেওয়ার। শেখ রেহানার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন এটা বলতে পারি তিনি গোপালগঞ্জের রাজনীতিতে জড়িত হয়েছেন। তবে এই জন্য আগামী নির্বাচনে অংশ নিবেন এটা নিশ্চিত হয়নি, কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ রেহানা অনেক ধীর স্থির। তিনি হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেন না। অনেক ভেবে চিন্তেই সিদ্ধান্ত নেন। তার টুঙ্গিপাড়ায় রাজনীতিতে জড়িত হওয়া একটি সুদূরপ্রসারী চিন্তার অংশ। একটি সূত্র জানায়, আগামীতে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় ভোট দিবেন।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের তিনটি পদ খালি রাখা হয়েছে। একটিতে শেখ রেহানা। একটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর একটি পদে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নাম শোনা যায়।
শেখ রেহানাকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা করা হয়েছে। গত ১৭ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে ৫৭ জন কার্যনিবাহী কমিটির মধ্যে ১৪ জন উপদেষ্টাম-লীর সদস্য। শেখ রেহানা উপদেষ্টাম-লীর ৩ নম্বর সদস্য।
সরকারের নীতিনির্ধারক একজন মন্ত্রী বলেন, শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয় রাজনীতিতে আছেন। তবে তারা যেহেতু আরও অন্যান্য কাজ করেন তাই পুরোপুরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে পারছেন না। তবে আগামী দিনে তাদের দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, সেটা তো হতেই পারে। তবে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদেরকে প্রেসিডিয়ামের সদস্য করা হবে কি না এ ব্যাপারে নেত্রী সিদ্ধান্ত নিবেন। তাছাড়া যাদের নিয়ে আলোচনা তাদেরও মতামতের দরকার হবে। আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা হতে পারে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী