ঢাবিতে ঐতিহ্য অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না Ñপ্রধান বিচারপতি ॥
এস এম নূর মোহাম্মদ : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঐতিহ্য রয়েছে। তবে সেই ঐতিহ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। একজন ভিসি পর্যন্ত ঐতিহ্য বজায় রেখে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তখন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যারা প্রথম শ্রেণীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হতেন তাদেরকে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হতো কিন্তু এখন আর সেটি হচ্ছে না। এটা অ্যালারমিং। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
আদালতে শিক্ষক তোফায়েলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সগীর আনোয়ার। শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ খন্দকার তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। গতবছরের ২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে দুজন প্রভাষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়, যাতে আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় এসএসসি ও এইচএসসিতে সিজিপিএ (কিউম্যুলেটিভ গ্রেড পয়েন্টস অ্যাভারেজ) ৫ এর মধ্যে ন্যূনতম ৪.২৫।
আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ৩২ জনের নাম ও যোগ্যতা উল্লেখ করে ৮ ডিসেম্বর বিবরণী প্রকাশ করা হয়। সেখান থেকে যে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাদের মধ্যে খন্দকার তোফায়েল আহমেদের সিজিপিএ ৩.১৯। কিন্তু সিজিপিএর শর্ত পূর্ণ করে ৩২ জনের তালিকার শীর্ষ থাকলেও এইচ এম মিরাজ সৌরভ নিয়োগ পাননি। পরে নিজের নিয়োগ চেয়ে এবং খন্দকার তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে গত ৩০ জানুয়ারি রিট দায়ের করেন মিরাজ। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ওই রুল নিষ্পত্তি করে গত ২৫ জুলাই তোফায়েল আহমেদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ওই রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করলে চেম্বার বিচারপতি বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ