বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে
প্রবীর মোহন্ত, বগুড়া : বগুড়ায় নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির পর গত সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে ডাক্তারি পরীক্ষায় জনানো হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে ওই পরীক্ষার প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা পুলিশের কাছে মেয়েটির রিপোর্ট দিয়েছি। ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
এদিকে ধর্ষক শহর শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক তুফান সরকারের স্ত্রীর বড় বোন পৌর কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকির বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতন ও ন্যাড়া করে দেওয়ার আলামত জব্দ করেছে পুলিশ। ।
এছাড়া তুফানের বড় ভাই শহর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিন সরকারের বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলায় জারি থাকা গ্রেফতারি পরোয়ানা বৃহস্পতিবার আদালত থেকে সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এখন তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা রিপোর্ট পেয়েছি। মামলার তদন্ত অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
মতিনের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। গত ১৮ জুন একটি পরোয়ানা ইস্যু হলেও তালিমের জন্য আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে জানতে পেরে বুধবার আমরা আবেদন করে বিজ্ঞ আদালত থেকে পরোয়ানা নিয়ে এসেছি। এ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র জানায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে কাউন্সিলর রুমকি পুলিশকে অনেক তথ্য দিয়েছেন। সেই সূত্র ধরে গত বুধবার রাতে অভিযান চালানো হয় শহরের চকসূত্রাপুর এলাকায় রুমকির বাড়িতে। সেখান থেকে পুলিশ ছাত্রী ও তার মায়ের মাথার কাটা চুল, কাঁচি, ক্ষুর, সাবান এবং মারধর করার কাজে ব্যবহৃত স্টিলের পাইপ উদ্ধার করেছে। চুল কাটা এবং নির্যাতনের ঘটনার চিত্রটি ধারণ করা হয়েছিল ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুমকির মোবাইল ফোন দিয়ে। আলামত হিসেবে সেগুলোও পুলিশ উদ্ধার করেছে।
এছাড়া রুমকির নিজ নামের প্যাডে ওই ছাত্রী ও তার মায়ের কাছ থেকে জোর করে মিথ্যা চুরি করার স্বীকারোক্তি আদায়ের কাগজটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সম্পাদনা : মাহফুজ উদ্দিন খান