স্বাধীনতার পর এই প্রথম কংগ্রেসকে টপকে রাজ্যসভায় বৃহত্তম দল বিজেপি
ইমরুল শাহেদ : কংগ্রেস মুক্ত ভারত করার ডাক দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তিন বছরের মধ্যে তার দল সেদিকে অনেকটা এগোল। রাজ্যসভায় এখন বিজেপিই বৃহত্তম দল। স্বাধীনতার পর এই প্রথম। কংগ্রেসকে টপকে সংসদের উচ্চকক্ষে বিজেপির এখন সাংসদ সংখ্যা ৫৮। কংগ্রেসও এই প্রথমবার রাজ্যসভায় একাধিপত্য খোয়াল। উচ্চকক্ষে বৃহত্তম দল হলেও, বিজেপি অবশ্য এখনই সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। তবে এই মুহূর্তে তাদের যা সংখ্যা, সেই জোরে বিজেপি রাজ্যসভায় বিল পাস করানোর ব্যাপারে সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গেল। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পর বিরোধী দলের মর্যাদাটুকুও পায়নি কংগ্রেস। এরপরও রাজ্যসভায় তারা দাদা ছিল। কারণ কংগ্রেসের হাতে ছিল ৫৮ জন সাংসদ। কংগ্রেসের এই শক্তির জন্য বিজেপি রাজ্যসভায় বেশ কিছু বিল পাস করাতে রীতিমতো বেগ পেয়েছে। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতা হারাতে থাকে। হু হু করে কমতে থাকে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা। উল্লেখযোগ্যভাবে বিজেপির বিধায়ক পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এখন দেশের ১৮টি রাজ্যে হয় সরকারে আছে বিজেপি, না হলে তারা সরকারের প্রধান শরিক। যার সুফলও পেতে শুরু করেছে বিজেপি। কংগ্রেস সেখানে মাত্র ৬টি রাজ্যে কোনওরকমে টিকে আছে। সদ্য মধ্য প্রদেশ থেকে একটি রাজ্যসভা আসন জিতে যাওয়ায় বিজেপি এখন সংসদের উচ্চকক্ষে এককগরিষ্ঠ। বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ বেড়ে ৫৮-তে পৌঁছেছে। এমনকী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সময়েও রাজ্যসভায় হাফ সেঞ্চুরি পেরোতে পারেনি পদ্ম শিবির।
রাজ্যসভার মোট সদস্য সংখ্যা ২৪৫। ২০১৮-এর এপ্রিলে নাগাদ ৫৭টি আসন ফাঁকা হচ্ছে। এই আসনগুলি বিজেপির টার্গেট। এখন বিজেপির যা শক্তি তাতে ওই আসনের সিংহভাগ তাদের দখলে আসবে। ২০১৮ এর শেষের দিকে আর এক দফা আসন খালি হলে তখন বিজেপি রাজ্যসভাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। আপাতত তারা গরিষ্ঠতা পেলেও, অন্যদের ভরসায় থাকতে হবে। আর এক বছর পর একাই বিল পাস করাতে পারবে এনডিএ জোটের প্রধান দল। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ