স্তন্যদানে ঘোরতর আপত্তি ছিল রানি ভিক্টোরিয়ার
আনন্দবাজার : রানি বলে, বা শরীরে রাজরক্ত বইছে বলে মায়ের কর্তব্যে ফাঁকি দিতে চাননি ব্রিটিশ রাজপরিবারের মহিলারাও। দু’-একটি ব্যাতিক্রম নেই, তা নয়। কিন্তু ব্রিটেনের রাজপরিবারের মহিলারা যখনই মা হয়েছেন, ইতিহাস বলছে, তারা বিন্দুমাত্র আপত্তি জানাননি সন্তানদের স্তন্যপান করাতে। সন্তানদের জন্ম দেওয়ার পর খুব অসুস্থ হয়ে না পড়লে সন্তানদের তারা স্তন্যপান করাতে কার্পণ্য করেননি। বরং সেটাই ট্র্যাডিশন ব্রিটিশ রাজপরিবারের রানি মায়েদের।
সেই ট্র্যাডিশন মেনেছেন যেমন এখনকার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বা তার এক সময়ের পুত্রবধূ প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা, তেমনই এই সে দিনও তা মেনেছেন ডায়ানার পুত্রবধূ কেট মিডলটনও। সেই ট্র্যাডিশন মেনেছেন রাজা ষষ্ঠ জর্জের স্ত্রী রানি প্রথম এলিজাবেথও।
বাকিংহাম প্যালেস জানাচ্ছে, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সেই ট্র্যাডিশন প্রথম ভেঙেছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া। ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরুর সময় যিনি ছিলেন রানি। সন্তানদের স্তন্যপান করাতে ঘোর আপত্তি ছিল তার। নিজে তো সন্তানদের স্তন্যপান করাননি বটেই, এমনকী, তার পরিচিতদের, তার বান্ধবী, পরিজনদের, সন্তানসন্ততিদেরও তিনি সব সময় পরামর্শ দিতেন স্তন্যপান না করাতে। যদিও রানি ভিক্টোরিয়ার সেই পরামর্শে আদৌ কর্ণপাত করেননি তার কোনও কন্যাসন্তানই। তাই ব্রিটিশ রাজপরিবারের রানি মায়েদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ব্যাতিক্রম হয়ে ছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া। পরে রাজপরিবারের আরও এক রানি মা পদাঙ্ক অনুসরণ করেন রানি ভিক্টোরিয়ার। তিনি প্রিন্সেস মার্গারেট। এখনকার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বোন। তার কোনও সন্তানকেই স্তন্যপান করাতে চাননি প্রিন্সেস মার্গারেট। শোনা যায়, সন্তানের জন্ম দেওয়ার আগেই তিনি রাজপরিবারের চিকিৎসককে বলে দিয়েছিলেন, তার সন্তানকে স্তন্যপান করাবেন গভর্নেসই। আর তার সন্তানকে দীর্ঘ দিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্তন্যপান করাতে পারবেন, এমন গভর্নেস খুঁজে আনার জন্য রাজপরিবারের ম্যানেজারদের আগেভাগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ