প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে রপ্তানি আয় বাড়ছে
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রক্রিয়াজাত খাদ্য রপ্তানিতে বেশ ভালো করছে দেশের বড় কোম্পানিগুলো। তাদের উৎপাদিত রুটি-বিস্কুট-চানাচুর, পানীয়, মসলা, জ্যাম-জেলি, সরিষার তেল ইত্যাদি পণ্য রপ্তানি আয় বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো পুরোনো বাজারের পাশাপাশি আফ্রিকা ও এশিয়ার কয়েকটি দেশে সম্প্রসারিত হচ্ছে এসব পণ্যের বাজার। অন্যদিকে শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরা নন, আমদানিকারক দেশগুলোর নাগরিকেরাও বাংলাদেশি পণ্য কেনা শুরু করেছেন বলে দাবি রপ্তানিকারকদের।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে হিমায়িত মাছ, চিংড়ি, সবজি ও ফল রপ্তানি আয় প্রায় ১২ শতাংশ কমে গেছে। বিপরীতে রুটি, বিস্কুট, কেক, মসলা, ভোজ্যতেল ও চর্বিজাতীয় পণ্য এবং কোমলপানীয় রপ্তানি আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও খাদ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) জানিয়েছে, বর্তমানে শতাধিক প্রতিষ্ঠান রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশের পণ্য যাচ্ছে বিশ্বের ১৪০টির মতো দেশে। পণ্যের মান উন্নত করা ও গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস (গ্যাপ) অনুসরণ করে সবজি, মাছ ও ফল উৎপাদন করে তা প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে এ খাতটিতে রপ্তানি আয় বাড়ানোর সুযোগ অনেক বেশি। বাপার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তার সদস্যরা রপ্তানি করেছে ২৪ কোটি ডলারের পণ্য। ফলে রপ্তানি আয় এক দশকে প্রায় ১২ গুণ বেড়েছে। এ হিসাব নগদ সহায়তা নিতে কোম্পানিগুলো যে সনদ নেয়, তার ওপর ভিত্তি করে তৈরি। ইপিবির পণ্যভিত্তিক রপ্তানি আয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি করে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৫২ লাখ ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি। সূত্র – প্রথম আলো
এ খাতে সবচেয়ে বেশি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। প্রাণ জানিয়েছে, বিগত অর্থবছর তাদের রপ্তানি আয় হয়েছে ২৩ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকার সমান। আগের বছরের চেয়ে তাদের রপ্তানি আয় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। প্রাণের দাবি, তাদের পণ্য এখন কানাডায় ওয়ালমার্ট, সৌদি আরব ও ওমানে ক্যারিফোর, যুক্তরাজ্যে পাউন্ডল্যান্ড, ভারতে রিলায়েন্স ফ্রেশ ও সিটি মার্ট, কাতারে গ্র্যান্ড মল ও আনসার গ্যালারি, মালয়েশিয়ায় টেসকো, সেগি ফ্রেশ ও ইয়নের মতো সুপারশপ ও চেইন স্টোরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান বলেন, চার-পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশি পণ্য শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিনত। সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন প্রাণের পণ্য মূল বাজারেও প্রবেশ করেছে।