টাঙ্গুগুয়া হাওরের জীব বৈচিত্র্য হুমকিতে
নুর উদ্দিন, ছাতক (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জে দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুগুয়া হাওরের জীব বৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে। প্রায় ১০ হাজার হেক্টর আয়তনের অধিক জলসীমা বেষ্টিত ৫২টি ছোট বড় বিলের সমন্বয়ে গঠিত টাঙ্গুগুয়া হাওর। হাওরের সুবিশাল জল রাশির বুকে ও চার পাশ জুড়ে ছিল ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১৪১ প্রজাতির মাছ, ১১ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৭ প্রজাতির গিরিগিটি, ২১ প্রজাতির সাপ, ৬ প্রজাতির ক”ছপ, ১৫০ প্রজাতির জলজ ও জলপদ্ম জাতীয় উদ্ভিদ এছাড়াও দুর্লভ প্রজাতির প্যালাসেস ফিশিং ঈগল। বিশাল টাঙ্গুগুয়া হাওরের জলারাশির চারদিকে হিজল-করচ, নলখাগড়া, চাইল্যাবনসহ বিভিন্ন জাতীয় গাছ গাছালীতে কিছুদিন আগে অতিথি পাখিদের অভয়াশ্রম ছিল। প্রাকৃতিক ভরপুর টাঙ্গুগুয়া হাওরের জীব বৈচিত্র্য নিজস্ব সৌন্দর্য্য হারানোর পাশাপাশি ক্রমশ হুমকির মুখে পড়ছে। ফলে বিপন্ন হচ্ছে হাওর ও হাওরের চারদিকের পরিবেশ। টাঙ্গুগুয়ার হাওর ঘুরে দেখা যায়, হাওরপারের জনগণ জ্বালানী চাহিদা মেটাতে নলখাগড়া, বনতুলসী, চাইল্যাবন, হিজল-করচ গাছের ডালপালা ছোট ছোট নৌকা বোঝাই করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘেœ। বিনোদপুর গ্রামের অশ্বিনি বর্মন, পানিয়াখালী গ্রামের রহিম উদ্দিন জানায়, বর্ষাকালে জ্বালানি চাহিদা পূরণের জন্য তারা বনতুলসী ও নলখাগড়া কেটে নিয়ে যায়। আইইউসিএনের কো-অর্ডিনেটর ওয়াহিদুজ্জামান সরকার বলেন, হাওরের গাছগাছালি ও বন কেটে নেয়ার বিষয়টি আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনকে অবহিত করেছি। বনখেকোদের সঙ্গে আনসারদের অবৈধ যোগসাজসের কারণে টাঙ্গুগুয়া হাওর উজার হয়ে যাচ্ছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান