বিদ্যুৎগতির বোল্ট পেলেন ব্রোঞ্জ পদক
এল আর বাদল : কিংবদন্তিরাও তাহলে আটকে যান। জেতাটাকে যখন কেউ অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেন, তা আর শিরোনাম থাকে না। একটা হারই শিরোনামে নিয়ে আসে। শেষবারের মতো ১০০ মিটারের ট্রাকে নেমেছিলেন। কিন্তু এবার আর বাজিমাত করতে পারলেন না। জাস্টিন গ্যাটলিনের কাছে হেরে গেলেন উসাইন বোল্ট।
সোনা নয়, রুপো নয়। ব্রোঞ্জ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল কিংবদন্তিকে। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে পুরুষদের ১০০ মিটার ফাইনালে বোল্টের সময় ৯.৯৫ সেকেন্ড। সোনা জিতলেন আমেরিকার জাস্টিন গ্যাটলিন। তার সময় ৯.৯২ সেকেন্ড। রুপো আমেরিকারই ক্রিশ্চিয়ান কোলম্যানের। তার সময় ৯.৯৪ সেকেন্ড। লন্ডনের ক্যুইন এলিজাবেথ অলিম্পিক পার্কের পাশাপাশি গোটা দুনিয়া শেষবারের মতো সাক্ষী থাকল বিদ্যুৎ বোল্ট-এর। শুধু সোনাটাই এল না। সেমিফাইনালে মোটেও ছন্দে ছিলেন না বোল্ট। সাংবাদিকদের কাছে তা স্বীকারও করেন তিনি। বোল্ট ভক্তরা ভেবেছিলেন ফাইনালে সেরাটাই দেবেন তিনি। কিন্তু সেমিফাইনালে যে ক্রিশ্চিয়ান কোলম্যানের কাছে প্রথম স্থান ছেড়েছিলেন, ফাইনালেও একইভাবে কোলম্যানের পিছনে শেষ করলেন বোল্ট।
ফাইনাল শেষে বোল্ট ভক্তরা যখন হতবাক, তখনই গ্যাটলিনকে জড়িয়ে ধরেন বোল্ট। এরপরই দেখা গেল অভূতপূর্ব দৃশ্য। গ্যালারির দিকে তাকিয়ে ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করার ইঙ্গিত দিলেন গ্যাটলিন। কিংবদন্তির প্রতি সম্মানে নতজানু হয়ে পড়লেন। এটাই বোল্টের ক্যারিশমা। লন্ডনে অবশ্য আর একবার নামতে দেখা যাবে বোল্টকে। রিলেতে দৌড়বেন তিনি। তবে এখানকার স্টার্টিং ব্লক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বোল্ট। বলেছেন, ‘ব্লক থেকে বেরনোর সময় কিছুটা হড়কে গিয়েছিলাম। এরকম স্টার্টিং অভিজ্ঞতা আমার আগে হয়নি।’একটা হার হয়ত সমালোচকদের কাছে অনেককিছু। গোটা বিশ্বের কাছে তা নাও হতে পারে। তিনি রাজার মতো এসেছিলেন। ট্র্যাক থেকে বিদায়ও নিলেন রাজার মতো।