সুজন কৈরী : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৃথক ঘটনায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা সমমূল্যের ৩১ কেজি ওজনের ২৫৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে ঢাকা কাস্টমস হাউস। গতকাল রোববার সকালে ও শনিবার রাতে স্বর্ণগুলো উদ্ধার করেছে কাস্টম হাউসের প্রিভেন্টিভ টিম।
প্রিভেন্টিভ টিমের সহকারী কমিশনার আহসানুল কবির জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে একটি ফ্লাইট (এসকিউ-৪৪৬) ঢাকায় পৌঁছায়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ফ্লাইটের যাত্রী জামিল আক্তার (৪৮) অসুস্থতার ভান করে হুইলচেয়ারে বসে গ্রিন চ্যানেল পার হচ্ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটক করে দেখা যায় তিনি সুস্থ আছেন। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বর্ণের কথা অস্বীকার করেন। এ সময় তার আচরণে অসংলগ্নতা দেখে তাকে ব্যাগেজ কাউন্টারে নেয়া হয়। সেখানে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বর্ণের কথা স্বীকার করেন। এরপর কাস্টমস হলে নিয়ে তার শরীর তল্লাশি করে শরীরের নিম্নাঙ্গে দু-পায়ের মাঝে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচানো একটি ভেস্টের মধ্যে থাকা ২৫ কেজি ওজনের ২৫০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে হুইলচেয়ারের আশ্রয় নেন তিনি। আটক স্বর্ণের মূল্য প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। জামিলকে আটকের পর মামলা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। চলতি বছরে সবচেয়ে বড় স্বর্ণের চালান আটকের ঘটনা এটিই প্রথম। জিজ্ঞাসাবাদে জামিল জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরে তার চিপসের (দোকানদারি) ব্যবসা রয়েছে। তিনি একজন ফ্রিকোয়েন্ট ট্রাভেলার। তিনি গত ৬ মাসে মোট ১৩বার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।
আহসানুল কবির আরও জানান, গতকাল সকাল ৮টার দিকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের (বিএস-৩১৪) টয়লেট থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৬ কেজি ওজনের ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। স্বর্ণবারগুলো কালো স্কচটেপ পেঁচানো তিনটি বান্ডিলে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। যার মূল্য ৩ কোটি টাকা। ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার রাতে ২৫ কেজি স্বর্ণ ধরা পড়ায় কাস্টমসের নজর এড়ানো অসম্ভব ভেবে স্বর্ণ চোরাচালানিরা স্বর্ণগুলো বিমানের টয়লেটে ফেলে গেছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ