রিকু আমির : শাহবাগ থানার সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা ফুটপাথ থেকে ফুলের দোকান উচ্ছেদ করা শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশন। যদিও উচ্ছেদের অপেক্ষায় থাকা কিছু দোকান রক্ষায় ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের তদবির, হুমকি থেমে নেই।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, থানার প্রধান গেট ঘেঁষে থাকা ফুটপাথ থেকে শুরু করে শাহবাগ চত্বরমূখী যেখানে থানার সীমানা শেষ, সে পর্যন্ত ফুটপাথের কোনো দোকান নেই। উচ্ছেদ করা দোকানগুলোর ব্যবসায়ীরা বসে আছেন ফুটপাথেই। সেখানকার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম এ প্রতিবেদককে বলেন, বুঝতে পারছি না কেন আমাদের তুলে দেওয়া হলো। থানায় গিয়ে রিকোয়েস্ট করেছি। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হলো না। স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার অ্যাড. আব্দুল হামিদ এ প্রতিবেদককে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসেই এসব উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী আমার সম্পর্কে অভিযোগ তোলে- আমি নাকি তাদের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছি, না দেওয়ায় নাকি উচ্ছেদের পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু এবার শক্ত হয়ে উচ্ছেদে নেমেছি, আমাকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছু দোকান উচ্ছেদ করা হলেও আরও কিছু দোকান রয়ে গেছে। এ প্রসঙ্গে ওয়ার্ড কমিশনার বলেন, আগামী সপ্তাহেই বাকি দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিবেদককে বলেন, এই দোকানগুলোর কারণে শাহবাগ থেকে টিএসসিমুখী লেনে যানজট লেগেই থাকে। কেউ ফুল কিনতে আসলে তো কোনো না কোনো যানবাহন নিয়ে আসেন, তারা প্রধান সড়কেই গাড়ি পার্কিং করে ফুল কেনায় ব্যস্ত হন। আর লেগে যায় যানজট। এছাড়া প্রায়শই নানা সংগঠন শাহবাগ টু-টিএসসিমুখী সড়কে নানা ধরণের কর্মসূচি পালন করে। ফুল দোকানকেন্দ্রিক গাড়ি পার্কিং ও এ থেকে সৃষ্ট যানজট সাধারণ মানুষের চলাচলকে মারাত্মকভাবে বিঘিœত করে।
লাভ কী এসব দোকানে প্রশ্ন রেখে আবুল কালাম আজাদ বলেন, তারা সরকারকে কোনো রাজস্ব দেন না। উল্টো সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরায় নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ