বরিশাল প্রতিনিধি : জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার পরবর্তীতে বরগুনা সদর উপজেলার ইউএনও (বর্তমানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সহকারী সিনিয়র সচিব) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির দায়ের করা মানহানি মামলা সংক্রান্ত বিষয়বলী খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা বরিশালে কাজ শুরু করেছেন।
গতকাল রোববার সকালে ঢাকা থেকে আসা কমিটির প্রধান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এম বজলুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই কমিটিতে রয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন করে যুগ্মসচিব। বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি সকাল ১০টায় বরিশাল সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছেছেন। সেখানে বর্তমানে প্রত্যাহার হওয়া মামলার বাদী অ্যাডভোকেট ওবায়েদুল্লাহ সাজু, গাজী তারিক সালমনের আইনজীবী মো. মোখলেসুর রহমান খান ও ঘটনার দিন আদালতে দায়িত্ব পালন করা ছয় পুলিশ সদস্য তদন্ত কমিটির সঙ্গে সার্কিট হাউজে অবস্থান করছেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা প্রয়োজন মনে করলে এর বাইরে কারও সাথে কথা বলতে পারেন। উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর (শিশুর আঁকা) ছবি বিকৃত করে ছাপানোর অভিযোগে গত ৭ জুন আগৈলঝাড়ার সাবেক ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক (বর্তমানে বহিস্কৃত) অ্যাডভোকেট ওবায়েদুল্লাহ সাজু। ওই মামলায় তারিক সালমন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন জামিন নামঞ্জুর করে তাকে (ইউএনও) কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়ার পর ইউএনওকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
পরবর্তীতে তারিক সালমনের আইনজীবী আবারও জামিনের আবেদন করলে দুই ঘণ্টা পর ইউএনও তারিক সালমনকে জামিন প্রদান করেন বিচারক। এ নিয়ে সারাদেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মামলার বাদীকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কারের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এ ঘটনায় সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। সম্পাদনা : মাহফুজ উদ্দিন খান