ইমরুল শাহেদ : উত্তর কোরিয়ার পরমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির উপর জাতিসংঘ অবরোধ আরোপ করেছে। উত্তর কোরিয়া বলেছে, তারা এই অবরোধের যথাযথ জবাব দেবে এবং এজন্য যুক্তরাষ্ট্রকে চড়া মূল্য দিতে হবে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যম কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি বলেছে, গত শনিবার জাতিসংঘে অবরোধ আরোপের জন্য যে ভোটাভুটি হয়েছে, তা দেশটির সার্বভৌমত্বের উপর চরম লঙ্ঘন স্বরুপ। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উত্তর কোরিয়া তাদের দেওয়া একটি আলোচনা শুরুর একটি প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে। এই অবরোধের ফলে রপ্তানি খাত থেকে উত্তর কোরিয়ার আয় এক তৃতীয়াংশ কমে যাবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে এই অবরোধ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ হলো উত্তর কোরিয়ার বারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো, যা উপদ্বীপ অঞ্চলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। আরোপিত এই অবরোধের জবাবে উত্তর কোরিয়া সোমবার বলেছে, দেশটি তার বিতর্কিত পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে। কেসিএনএ নিউজ এজেন্সি বলেছে, পিয়ংইয়ং দেশটির আত্মরক্ষামূলক পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টি আলোচনার টেবিল পর্যন্ত নিয়ে যেতে চায় না, যা যুক্তরাষ্ট্র হুমকি-ধামকির মাধ্যমে চাইছে। জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত-প্রস্তাবের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার জন্য দেশটিকে সহস্রবার চড়া মূল্য দিতে হবে।
উত্তর কোরিয়া এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার একদিন আগে অর্থাৎ রোববার, ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক ফোরাম আসিয়ান সম্মেলনের এক পার্শ্ব আলোচনায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয় আলোচনায় বসেন। দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অনির্ধারিত এই বৈঠকে মিলিত হওয়ার আগে উঞ্চ করমর্দন করেন। বৈঠক স্থায়ী হয়েছে স্বল্পক্ষণ। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো বিবিসিকে বলেছেন, আলোচনা বিষয়ে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা একেবারেই তাৎপর্যহীন। সূত্র : বিবিসি