মাসুদ আলম : রাজধানীর শাহবাগে সিদ্দিকুরের ওপর পুলিশের হামলা ঘটনায় গঠিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হেড কোয়ার্টারের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। খুব কাছ থেকে ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমানের চোখে লাগে বলে তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। দু’জন ইন্সপেক্টর ও পাঁচ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, সোমবার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার ছাড়া বিস্তারিত জানা সম্ভব নয়।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ডিএমপি কমিশনার দেশে না থাকায় ওই প্রতিবেদনের খুঁটিনাটি বিষয় কিংবা কোনো কোয়ারি আছে কিনা, তা জানার জন্য কমিশনারের অপেক্ষায় আছেন সবাই। সিদ্দিকুরের চোখে যে পুলিশ কর্মকর্তা খুব কাছ থেকে টিয়ারশেল মেরেছেন, তাকে শনাক্ত করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এছাড়া শাহবাগ থানা ও পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছেন। তাদের সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। অভিযুক্তরা হলেন- শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর আলী বিশ্বাস ও পরিদর্শক (অভিযান) আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া দাঙ্গা দমন বিভাগের (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট-পিওএম) পাঁচ কনস্টেবলের নামও আছে। ঘটনাস্থলের কাছে শাহবাগ থানার দুই পরিদর্শক থাকলেও তারা পুলিশ সদস্যদের নিবৃত্ত করেননি। এমনকি তারা পুলিশ সদস্যদের সঠিক নির্দেশনাও দেননি। পুলিশ সদস্যরা অপেশাদারসুলভ আচরণ করেন।
এদিকে পুলিশের আরেকটি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে সময় চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রমনা জোনের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার বলেন, সোম ও মঙ্গলবার মিলে আরও দুদিনের সময় নেওয়া হয়েছে প্রতিবেদন তৈরির জন্য।
উল্লেখ্য, পরীক্ষার রুটিন ও তারিখ ঘোষণাসহ কয়েকটি দাবিতে ২০ জুলাই সকাল ১০টার দিকে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে সিদ্দিকুর রহমান গুরুতর আহত হয়। বর্তমানে সিদ্দিকুর ভারতের চিকিৎসাধীন রয়েছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু