প্রবীর মোহন্ত, বগুড়া : বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের শিকার সেই শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা হেফাজতে(সেফহোমে) ও তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে মা-মেয়েকে জেলার অতিরিক্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করে পুলিশ। এ সময় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. এমদাদুল হক এই নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মেয়েকে সেফ হোম ও তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ২৮ জুলাই পুলিশি নিরাপত্তায় তাদের শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার মা-মেয়েকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে ১১ দিন পর ছাড়পত্র দেওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর মা জানান, তারা পরবর্তী নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। একই সময় তিনি পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ তাদের সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. আবদুল মোত্তালেব হোসেন জানান, মা-মেয়ে দু’জনই শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ। একারণে গতকাল তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, নির্যাতিতা মা-মেয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেখানে ওই দুজনের বক্তব্য শুনে নির্যাতনের শিকার সেই শিক্ষার্থীকে রাজশাহীর নিরাপত্তা হেফাজতে (সেফ হোম) এবং তার মাকে ঢাকার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো: আসাদুজ্জামান জানান, সবকিছু শনাক্ত হয়ে সব আসামি গ্রেফতার হয়েছে। এখন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে ওই শিার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পরবর্তীতে নির্যাতন করে মা ও মেয়ের মাথা মুন্ডন করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ২৮ জুলাই রাতে মামলা করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত ৯ জনসহ মোট ১১জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এজাহারভুক্ত অপর আসামি শিমুল এখনও পলাতক। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান