কিরণ সেখ : সংলাপের নামে নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জাতির সঙ্গে তামাশা করছেন বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ মন্তব্য করেন। সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-দফতর সম্পাদক মুন্সী জামাল উদ্দিনের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে এ সভায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম, সিইসি আওয়ামী ঘরানার লোক। আমরা মিথ্যা বলি নাই। তার অনেক কর্মকা-ের উদাহরণ আমরা তুলে ধরে ধরেছিলাম। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক হলো, সুশীল সমাজের প্রায় ৯০ ভাগ ব্যক্তি ও বিশিষ্টজন যে বক্তব্য রাখলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি বললেন, তারা যে সুপারিশ করলেন, এর সঙ্গে শাসনতন্ত্র ও প্রচলিত আইনের যতটুকু সামঞ্জস্য রয়েছে ততটুকু ধরা হবে। আমার প্রশ্ন, তাহলে আপনি এই তামাশা করছেন কেন? এই নাটক না করলেই পারতেন! বলেন তিনি।
সিইসিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সংলাপে উপস্থিত ৯০ ভাগ বিশিষ্ট মানুষ-বুদ্ধিজীবী যে বক্তব্য রাখলেন, এই সুপারিশ নাকচ ও অপমান করার জন্য কী আপনি তাদের ডেকেছিলেন? যদি প্রচলিত আইন ও শাসনতন্ত্র বিধান অনুযায়ী হয় তাহলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। গণতন্ত্র কোথায়, ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার কোথায়- বলে সিইসির কাছে প্রশ্ন রাখেন রিজভী।
নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশে বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, আপনি সংলাপের নামে যা করছেন, তা মানুষ তামাশা বলেই ধরে নেবে। সন্ত্রাস দিয়ে বন্দুকের নলের মুখে যেভাবে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আপনি এটা নিশ্চিত করবেন। সেখান থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার আশার বাণী শুনাবেন আপনি। কিন্তু আপনি শাসনতন্ত্র ও প্রচলিত আইনের কথা বলছেন। আরে শাসনতন্ত্র তো প্রধানমন্ত্রী একদলীয় বাকশালী সংসদে তার ইচ্ছা মতো পরিবর্তন করেছেন। বাকশালকে দীর্ঘায়ু, একদলীয় ও একতরফা নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র করছেন বলে আপনার বক্তব্যে প্রমাণ হয়- বলেন তিনি।
আগস্ট মাসকে কী ইলিয়াস আলীদের মতো গুম করেছেন- সরকারের কাছে এ প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, আমাদের ১২ মাসের একটি মাস গুম করে নিবেন? এই মাসে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল আর কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। তাহলে আগস্ট মাসে কী হবে? আগস্ট মাসে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আমরাও এই কথা বলি। এই মাসে আওয়ামী লীগ শোক দিবস পালন করবে, ঠিক আছে। কিন্তু সারা মাস আর কেউ কর্মসূচি করতে পারবে না, তাহলে তো আমাদের একটি মাসকে অপহরণ করা হবে।