খালেদা জিয়াসহ তিনজনের জামিন বাতিলের আদেশ ১৭ আগস্ট
মামুন খান : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির জামিন বাতিল হবে কি না সেই আদেশের তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৭ আগষ্ট ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আকতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার পক্ষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ওই দিন ঠিক করেন।
বৃহস্পতিবার মামলাটি খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির জামিন বাতিলের আদেশের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাটিতে আদালত পরিবর্তন চেয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হয়েছে, যা শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে। আর খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আদালত বদলির আবেদন করেছেন। আবেদন করলেই মামলার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে না। আজকে মামলাটিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ সম্পূন্ন করার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গেলেই তারা বিচারক বদলির জন্য উচ্চ আদালতে যান। খালেদা জিয়া অনুপস্থিত। আত্মপক্ষ সম্পূন্ন করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আবেদন করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির জামিন বাতিলের আদেশের তারিখ আগামি ১৭ আগষ্ট ধার্য করেছেন।
এদিকে মামলাটি রোববার ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষি দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা তিনি আত্মসাৎ করেননি বলে জানান।
এরআগে গত ৩ আগষ্ট আদালতকে অসহযোগিতা করায় খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির জামিন কেন বাতিল হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেন বিচারক। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে তার আইনজীবী মিজানুর রহমান এবং সরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে রেজাউল করিম সরকার কারণ দর্শান।
ওই দিন আদালত রোববার (৭ আগষ্ট) খালেদা জিয়াসহ তিনজনের জামিন বাতিলের আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন।
একই আদালতে বিচারাধীন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটিও ১৭ আগষ্ট পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্ম আলী, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।