রায়ের বিস্তারিত না পড়ে কিছু বলা সমীচীন নয়
অ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত
হত্যা মামলাসহ সকল ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আদালত যে রায় দেন, তারা সেটা পর্যবেক্ষণ করেই দেন। ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় যে রায় দেওয়া প্রয়োজন মনে করেছেন, সেটিই তারা দিয়েছেন। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি সবসময়ই বিচারবিভাগের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ ব্যাপারে নতুন করে কিছুই বলার নেই আমার।
এ রায়ে অসন্তুষ্ট, ক্ষুব্ধ, হতাশ এবং ভীষণ কষ্ট পেয়েছে বিশ্বজিৎ এর পরিবার। এটা স্বাভাবিক আকাক্সক্ষার জায়গা থেকে ঠিক আছে। আমি যদি ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য হতাম আমিও তাই বলতাম। কিন্তু মামলা পর্যবেক্ষণ চলাকালীন আদালত মনে করতে পারে যে, কারও কারও শাস্তি অতিরিক্ত হয়েছে, কারও অতিরিক্ত হয়নি। একই সঙ্গে আদালত যদি মনে করেন যে, বিচারের রায় যতটুকু হওয়া উচিত, তার চেয়ে কমিয়ে দেওয়া বা খালাস দেওয়া হয়েছে, তখন ন্যায়বিচারের স্বার্থে এগুলো বিবেচনা করে নতুন রায় দিতে পারেন। এ অধিকার তো আদালতের রয়েছেই। এ বিষয়ে বিস্তারিত না পড়ে মন্তব্য করা কঠিন। রায়ের বিস্তারিত না পড়ে কিছু বলা সমীচীন নয়।
পরিচিতি: সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান ও মোহাম্মদ আবদুল অদুদ