নৌ বানিজ্য করতে চায় বাংলাদেশ থাইল্যান্ড
হাসান আরিফ : বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সাগর পথে নৌ বানিজ্য করতে আগ্রহী। এতে উভয় দেশের ছোট ছোট জাহাজও বারমা হয়ে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে। এছারা আগামী ২১ সালের মধ্যে দুই দেশের বানিজ্য ২ বিলিয়নে পৌছাবে বলে আশা করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে হোটেল সোনারগাওয়ে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড যৌথ বানিজ্য কমিশনের বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন উভয় দেশের বানিজ্য মন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন বানিজ্য সচিব শুভাশিষ বসু, থাইল্যান্ডের বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রেড নেগোসিয়েশনের মহাপরিচালক বনিয়ারিত কালায়ানামিথ, থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাশনিম। যৌথ সভায় বাংলাদেশের পক্ষে ২০ সদস্যর নেতৃত্ব দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং থাইল্যান্ড দলের ২০ সদস্যের নেতৃত্ব দেন সে দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী অরুন্ধতী তান্তপুরন। অরুন্ধতী তান্তপুরন বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে রফতানি বাড়াতে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চেয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য থাইল্যান্ডকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, থাইল্যান্ডে আমাদের পাটেশ সুতা রপ্তানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। আসিয়ানভূক্ত দেশ হওয়ায় এই পণ্যের ক্ষেত্রে ভারতকে তা দিতে হয় না। তাই আমরাও শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছি। নয়ত ভারতের সাথে আমরা প্রতিযোগিতায় টিকব না।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের বানিজ্য গ্যাপ অনেক। গতবছর আমাদের রপ্তানি ছিল ৩৫ মিলিয়ন আর থাইল্যান্ডের ছিল ৯৬০ মিলিযন। তাই আমরা ৩৬ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছি। এরমধ্যে তৈরি পোশাক, পাট, পাটজাত পণ্য, সিরামিক, আইটি, ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে চুক্তি করতে সময়ের ব্যপার। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নিদিষ্ট কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত শুবিধা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া আমাদের বিএসটিআই এর স্বীকৃতি চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে একটি চুক্তি করতে উভয় দেশ একমত হয়েছে। দুইদিন ব্যাপি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার ৪র্থ জয়েন্ট ট্রেড কমিটির (জেটিসি) সভা হয়। সম্পাদনা : ফেরদৌস