মিঠুন মিয়া
আমদানির পরও বাজারে চালের মূল্য কমার পরিবর্তে বেড়েই চলছে। চালের সংকট দূর করার লক্ষ্যে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ দেয় সরকার। কিন্তু তারপর চালের দাম আরও এক ধাপ বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে পরিবহন সমস্যাকে দায়ী করেছেন। এছাড়াও হাওর অঞ্চলে অকাল বন্যায় ফসল ডুবে যাওয়াকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় চালের দাম বাড়াতে থাকে। মজুদ অস্বাভাবিকহারে কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় সরকারকেও। সে সময় মিলাররা চুক্তি করলেও সরকারের গুদামে চাল সরবরাহ করেনি। এরপর সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য ২৮ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। তারপর থেকে বেসরকারি পর্যায়ে প্রচুর চাল আসতে থাকে দেশের বাজারে। এতে মজুদ বাড়ছে, কিন্তু দাম খুব একটা কমেনি। চালের দাম বাড়লে সবচেয়ে বিপাকে পড়তে নিম্নবিত্তের মানুষকে। তাদের আয়-রোজগারের উপায় সীমিত। যারা মাস-মাইনের চাকরিজীবী তারাই বেশি বিপাকে পড়েন।
দৈনন্দিন জীবনে চাল অত্যাবশ্যকীয়। যত দামই হোক, জীবন বাঁচাতে চাল কিনতেই হয়। এ কারণে চালের দাম বাড়লে বেশি কষ্টে পড়েন নিম্নবিত্তের মানুষ। এ অবস্থার অবসান হওয়া জরুরি। সরকারের উচিত চালের দাম বাড়ার এই প্রবণতা রোধে অবিলম্বে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া। এর পেছনে কোনো কারসাজি থাকলে তা ভেঙে দিতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণের ক্রয়মতার মধ্যে রাখতে হবে চালের মূল্য। চালের প্রচুর মজুদ থাকার পরও কেন দাম কমছে না তা খতিয়ে দেখে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনাকে সময়োপযোগী, শক্তিশালী ও কার্যকর করতে হবে।
লেখক: প্রভাষক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সম্পাদনা: আশিক রহমান