জামালপুরে দুর্ভোগে ৭ লাখ বানভাসি মানুষ
শরিফুল ইসলাম ঝোকন, জামালপুর : যমুনার পানি সামান্য হ্রাস পেলেও জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ১০ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে যমুনার পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গত ৩ দিনে জেলায় শিশুসহ বন্যার পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় জেলার প্রায় ১ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এদিকে সরিষাবাড়ি উপজেলার সদর ও পৌর এলাকায় বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিস, শিমলা বাজারে পানি উঠায় বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে পিংনা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, পিংনা বাজারসহ পুরো ইউনিয়নবাসী। হুমকির মুখে রয়েছে কাওয়ামারা ঢাকা-সরিষাবাড়ি-জামালপুর সড়ক। বন্যায় জামালপুরের ৭টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়ন ও ৬ পৌরসভার ৭ লাখ ৫০ হাজার বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। সরকারিভাবে জেলায় ২৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন বাঁধ ও উচু সড়কে।কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই তার উপর গো-খাদ্য জোটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে অসহায় বানভাসী মানুষগুলোকে। জামালপুরের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রাসেল সাবরিন জানান, সরকারিভাবে জেলায় বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য ৩৩৮ মে. টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হাতে তৈরি শুকনো রুটি ও গুড় বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান