অনিরুদ্ধ রেজা, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপদসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ও ধরলার পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদ-নদীর তীরবর্তী নি¤œাঞ্চলের ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় ঘরে ফিরতে পারছে না বানভাসীরা। বন্যার পানিতে ঘর-বাড়ি ভেসে যাওয়া পরিবারগুলো সবকিছু হারিয়ে বসবাস করছে খোলা আকাশের নীচে। গত ৭ দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ও সাপের কামড়ে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গো-চারন ভুমি তলিয়ে থাকায় গো খাদ্যের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়া, অমাশয়সহ পানিবাহিত নানা রোগ। সরকারি- বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা চললেও ৫ লক্ষাধিক বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য তা অপ্রতুল। ত্রান না পাওয়ার অভিযোগ বেশিরভাগ মানুষের। ত্রাণ বিতরণে সমন্বয়হীনতায় বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যে জুটছে না কিছুই। জেলা প্রশাসন থেকে এ পর্যন্ত বন্যার্তদের জন্য সাড়ে ৫২ লাখ টাকা, ১৫শ মেট্রিক টন চাল ও ৪ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকটে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
যা এখনও বিতরণ করা হচ্ছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান