া বিনয় ভূষণ জয়ধর
নবরাত্রি বললে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের কথায় মনে পড়ে। কিন্তু সারা বছরে আসলে পাঁচ বার পালিত হয় নবরাত্রি। বসন্ত নবরাত্রি, অসধা নবরাত্রি, শারদ নবরাত্রি, পৌষ/মাঘ নবরাত্রি এবং মাঘ নবরাত্রি।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বছরের মাঝামাঝি হয় সারদ নবরাত্রি। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সারদ নবরাত্রি। এক নজরে জেনে নিন, এই ৯ দিন মা দুর্গার কোন কোন রূপের পূজো করা হয়।
প্রথম দিনের রূপ:- মাতা শেইলপুত্রি।
মা দুর্গার এই রূপ হলো শক্তির রূপ। এই রূপে একসঙ্গে থাকে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর, ত্রিদেবের শক্তি।
দ্বিতীয় দিনের রূপ:- ব্রহ্মচারিণী মাতা
মায়ের এই রূপ সংযমের। এই রূপে মা ভক্তের সংযমে সন্তুষ্ট হলে তাকে সুখ, সমৃদ্ধির আশীর্বাদ দেন।
তৃতীয় দিনের রূপ:- চন্দ্রঘণ্টা মা
মায়ের এই রূপ শান্তি ও শক্তির। মা দুর্গার এইরূপ ভক্তকে সাহস যোগায়, কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়বার শক্তি দেয়।
চতুর্থ দিনের রূপ:- মাতা কুশমান্দা
মনে করা হয় মা দুর্গার এই রূপই হলো বিশ্ব ব্রহ্মা-ের সৃষ্টি কর্তা। কুশমান্দা রূপী মা দুর্গার হাসি থেকেই সৃষ্ট হয়েছে পৃথিবী। তার হাসির ফোয়ারাতেই পৃথিবী হয়েছে শস্য শ্যামলা।
পঞ্চম দিনের রূপ:- স্কন্দ মাতা
মা দুর্গার এই রূপ ভগবান স্কন্দ অর্থাৎ কার্তিকের মায়ের। মা এই রূপেই শিশু কাল থেকে কার্তিকের সঙ্গে থেকেছেন।
ষষ্ঠ দিনের রূপ:- কাত্যায়নি মাতা
গল্পে শোনা যায় মা দুর্গার অবতার ছিলেন মহর্ষি কাতা। মহর্ষি কাতার থেকেই সৃষ্ট হয়েছেন কাত্যায়নি মাতা। মায়ের এই রূপে মাকে গেরুয়া বসনে দেখা যায়। গেরুয়া রং হলো সাহসের প্রতীক।
সপ্তম দিনের রূপ:- কালরাত্রি মা
এই অবতারে মা দুর্গা ভয়ঙ্করী। রং তার অন্ধকারের মতো কালো, এলোকাশি চুলে মা এই রূপে নির্ভয়া। ত্রিনয়নী কালরাত্রি মা ভক্তদের আশুরিক শক্তির হাত থেকে রক্ষা করেন।
অষ্টম দিনের রূপ:- মহা গৌরি মাতা
এই রূপে মা দুর্গা ধীর-স্থির, শান্ত। মায়ের এই রূপের পূজা করলে দূর হয়ে যায় ভক্তের মনের সব পাপ। গল্পে প্রচলিত আছে, দীর্ঘদিন জঙ্গলে তপস্যা করার পর কালো হয়ে গিয়েছিল মা দুর্গার রং। মহাদেব গঙ্গাকে নিয়ে এসে সব নোংরা ধুয়ে ফেলে ফিরিয়ে আনেন মায়ের ফর্সা রূপ। ময়ের এই নতুন রূপেরই নাম গৌরি।
নবম দিনের রূপ:- সিদ্ধিদাত্রী মা
মায়ের এই রূপ হলো শান্ত রূপ। চার হাতের সিদ্ধিদাত্রী মাকে পূজো করলে মায়ের আশীর্বাদে ভক্তদের পূণ্য লাভ হয়।