ডেস্ক রির্পোট : সনাতন ভারতের অন্যতম মঙ্গলচিহ্ন শঙ্খ বা শাঁখ। বৈদিক যুগ থেকে আজ পর্যন্ত ভারতীয় হিন্দুগৃহে শাঁখের অবস্থিতি অবিচল। শঙ্খ ভগবান বিষ্ণুর চিহ্ন।
তাই শঙ্খও পূজনীয়। তা ছাড়া প্রাচীন কালে যুদ্ধ আরম্ভ হতো শাঁখ বাজিয়ে, এ কথা ‘মহাভারত’-এও উল্লিখিত। আজও ভূমিকম্প ঘটলে, বা কোনো দুর্যোগ ঘটলে শাঁখের আওয়াজ ভেসে আসে প্রায় প্রতিটি পরিবার থেকে। আবার বিবাহাদি শুভকাজেও শঙ্খধ্বনি অপরিহার্য।
বৌদ্ধধর্মেও শঙ্খ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শঙ্খ একাধারে বাদ্য এবং পূজ্য। পরম্পরা অনুযায়ী, নিয়মিত শাঁখ বাজালে অশুভশক্তি দূরে যায়, হৃৎপি-ও সবল হয়। এই সব কারণে গৃহে শাঁখ রাখা প্রয়োজন। কিন্তু শঙ্খকে যেমন-তেমন ভাবে রাখা বিধেয় নয়। বৈদিক বাস্তুশাস্ত্র জানাচ্ছে, ঠিক কী প্রক্রিয়ায় শঙ্খকে গৃহে রাখলে সর্বাধিক মঙ্গল সম্ভব।
১. গৃহে রাখা শঙ্খের উপাসনা নিয়মিত করা প্রয়োজন। ভোর ও সন্ধ্যায় এই উপাসনা বিধেয়। ২. গৃহে শঙ্খ রাখতে হলে একটি শঙ্খ কদাচ নয়, কমপক্ষে দুটি রাখাই বিধেয়। এবং তাদের আলাদা রাখাই উচিত। ৩. যে শাঁখটি বাজানো হয়, তাতে নিয়মিত জলদান প্রয়োজন। এবং তাকে হলোুদ কাপড়ের উপরে রাখা দরকার।৪.শঙ্খ পরিষ্কার করার জন্য গঙ্গাজলই সর্বোৎকৃষ্ট। তার পরে তাকে সাদা কাপড়ে মুছে নেওয়া কর্তব্য ৫.শঙ্খকে রাখতে হবে উঁচুতে। মাটিতে কখনোই নয়। ৬. যে শাঁখকে পূজা করা হবে, সেটি না বাজানোই বিধেয়। আর বাজানোর জন্য রাখা শাঁখটিকে পূজা না করাই উচিত। ৭. শিবলিঙ্গের উপরে শাঁখ রাখা উচিত নয়। ৮. শিব ও সূর্যের পূজায় কখনোই যেন শঙ্খের মাধ্যমে জলদান না করা হয়।