আপনার মিশন শুরু করুন এখন থেকেই
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় ৬০০ কোটি মানুষের বসবাস রয়েছে । এদের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ লোক আজও সুসমাচারের বার্তা শুনতে পায়নি । এদের মধ্যে অধিকাংশই ১০/৪০ জানালার মধ্যে বসবাস করে । এই জানালাটি পৃথিবীর ১০ এবং ৪০ অক্ষাংশের মধ্যে অবস্থিত । এটি সমগ্র পশ্চিম আফ্রিকা এবং এশিয়া জুড়ে অবস্থিত। এই জানালার মধ্যে বিশ্বের মাত্র ৫% মিশনারি কাজ করছে কিন্তু যেখানে খ্রিস্টিয় সাক্ষ্য বেশি সেখানে ৯৫% মিশনারি কাজ করছে। এই পরিসংখান থেকে আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি যে খ্রিস্টের শেষ আদেশটি পরিপূর্ণ করতে চাইলে কোথায় আমাদের শক্তি নিয়োগ করা প্রয়োজন,যেন আমরা আমাদের প্রজন্মের মধ্যে সমস্ত মানুষের কাছে সুসমাচার পৌঁছাতে পারি ।
যীশুর আদেশ ‘এইজন্য তোমরা গিয়ে সমস্ত জাতির লোকদের আমার শিষ্য কর।’ মথি ২৮:১৯
এই আদেশ থেকে আমরা ‘জাতি’ শব্দটি খুজে পাই। এখানে জাতি বলতে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে বোঝাচ্ছে যাদের একটি নির্দিষ্ট ভাষা এবং নির্দিষ্ট সংস্কৃতি রয়েছে । আমাদের এই পৃথিবীতে প্রায় ১৩,৬০০টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। এর মধ্যে ৬৬০০টি জাতি এখনও অনধিকৃত অর্থাৎ এখনও ৬৬০০টি জাতির কাছে খ্রিস্টের বাণী পৌঁছায়নি। পরিসংখানে দেখা যায় যে বর্তমানে ভাল খ্রিস্টিয়ানের সংখ্যা মাত্র ১১%, সাধারণ খ্রিস্টিয়ানের সংখ্যা ২০%, নন খ্রিস্টিয়ান আয়ত্তের মধ্যে ৩৬%, নন খ্রিস্টিয়ান অনধিকৃত ৩৩%। আর বর্তমানে মন্ডলীর ব্যয় এর দিকে তাকালে দেখা যাবে যে, মন্ডলীগুলো তাদের সর্বমোট ব্যয় এর ৯৫% ব্যয় করে তাদের অভ্যন্তরীন প্রজেক্টের জন্য, সাধারণ মিশনের জন্য ব্যয় করে ৪.৫% এবং অগ্রজ মিশনের জন্য মাত্র ০.৫%। এর ভয়াবহতা একবার চিন্তা করে দেখুন । আবার পৃথিবীতে ৬৭০৩ টি মৌখিক ভাষা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৪০৫টি ভাষায় বাইবেল অনুবাদ হয়েছে এবং বাইবেলের প্রায় ৫০০ রকম অনুবাদ রয়েছে ইংরেজীতেই।
আমরা যাকে ১০/৪০ জানালা বলি, অর্থাৎ ১০ এবং ৪০ অক্ষাংশের দেশগুলোর চিত্র নিচে তুলে ধরা হল:
বিশ্বের অধিকাংশ অনধিকৃত জাতিগোষ্ঠী (প্রায় ৮৫%) এখানে বাস করে। বিশ্বের মুসলমান, হিন্দু এবং বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ এখানে বাস করে। ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের বেশী দারিদ্র সীমার নিচে। সবচেয়ে ভয়াবহ শয়তানের দুর্গের অবস্থান যা বিশ্বের ২/৩ ভাগ আত্মিক, শারীরিক এবং সরঞ্জামগত দারিদ্রতার জন্য দায়ী। অনধিকৃত এসব জাতিগোষ্ঠীর মাঝে খুব কম সংখ্যক মিশনারী কাজ করছে ।
আপনি কি জানেন?
বিশ্বের প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন লোককে কেউ কখনও যীশুর কথা বলেনি (২৭.৯%)। আর এরকম লোকের সংখ্যা প্রায় ২ বিলিয়ন (২,০০,০০,০০,০০০)।
আজকে এই শতাব্দীতে আমরা একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়েছি, একটা আর্তনাদের সুর বেজে চলছে কেন যীশুর জন্মের ২০০০ বছর পরেও আমরা আমাদের সমস্ত প্রযুক্তি, লোকবল, সম্পদ দ্বারা এখনও এত লোকের কাছে যীশুর কথা বলতে পারিনি ।
তাই আমি, আপনি এবং আমরা সকলে এই মিশন আজ থেকে শুরু করি। আপনি আপনার এই নৈতিক দায়িত্ব এবং ঈশ্বরের প্রতি কর্তব্য পালন করতে পারেন এখন থেকেই এবং তা শুরু করতে পারেন প্রার্থনার মাধ্যমে। কেননা অন্যের পাপের রক্তের দায় আপনাকেই নিতে হবে, আমাদেরকে সেই পাপের দায়ে পড়তে হবে কেননা আপনি এবং আমি যীশুর সেই আদেশটি জানি । আমরা সকল জাতির কাছে যীশুকে তুলে ধরব, আমরা সকল জাতির কাছে সুসমাচার প্রচার করব। কেননা সকল জাতিগোষ্ঠী ঈশ্বরের গৌরব করবে, পাপ থেকে পরিত্রান পাবে (গীত ৬৭:৩, প্রকাশিত বাক্য ৭:৯-১০) ।
আমরা আমাদের মিশন শুরু করতে পারি এখন থেকেই , আমাদের প্রার্থনা দিয়ে শুরু করতে পারি। ঈশ্বর আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন ‘তুমি আমার কাছে চাও, তাতে সম্পত্তি হিসাবে আমি তোমার হাতে অযিহুদী জাতিদেও দেব, গোটা পৃথিবীটা তোমার অধিকারে আসবে’। গীত ২:৮
বাইবেলে যীশু আমাদের বলেছেন,‘ফসল সত্যি অনেক কিন্তু কাজ করবার লোক কম। সেইজন্য ফসলের মালিকের কাছে অনুরোধ কর যেন তিনি তাঁর ফসল কাটবার জন্য লোক পাঠিয়েদেন ।’ মথি ৯:৩৭-৩৮
জেনে রাখুন আপনার প্রার্থনা বহু প্রাণের মুক্তি।