নিঃসঙ্গতাকে ভুলে যাও
এ্যাগনেস সিথি গাইন
তুমি কি নিজেকে একা ভাব? নানা রকম গেম খেলে ও মুখোশ পরে তুমি কি হেরে গেছ? তুমি যা না, তা তোমাকে বানাতে গিয়ে তুমি কি ক্লান্ত হয়ে পড়েছ? উপরের এই সবগুলো প্রশ্নের সাথে আমিও জড়িত ওতোপ্রতো ভাবে। এই সকল প্রশ্ন আমাকে প্রতিদিন, প্রতি সময়, প্রতি কাজে আটকে রাখে। আমি জানি এই সকল প্রশ্নের সাথে তুমি একটু হলেও পরিচিত।
প্রভু যীশু খ্রিস্ট আমাদের পুরোপুরি স্বার্থহীন ভাবে ভালবাসে, যাকে এর প্রতিদান, উপহার দেওয়া লাগে না বা আমরা দেই না। এবং তার ভালবাসা স্বর্গীয়। তিনি সব সময় চান আমরা আমাদেরকে গ্রহন করি, নিজেকে সময় দেই ও ভালবাসি এবং নিজেকে তুচ্ছ না করে প্রাধান্য দেই। পৃথিবীর এমন মানুষ নেই যে এই ব্যক্তির সাথে পরিচিত না এবং অবশ্যই তার কার্যাবলীর সাথে আমি যার কথা বলতে যাচ্ছি, সে হচ্ছে ‘শয়তান’।
এই শয়তানের কিছু চাওয়া পাওয়া আমি আলোচনা করছি নিঃসঙ্গতার বিষয়ে-
শয়তান সব সময়ই চায় আমরা যেন তার দৃষ্টিভঙ্গিটিকে গ্রহন করি। আমরা ঈশ্বরের সন্তান তা যেন আমরা ভুলে যাই এটাই শয়তান চায়। একজন মানুষ যখন জাগতিক জীবনে কাউকে খুব বেশি প্রাধান্য দেওয়া শুরু করে তখন সেই মানুষটি তার প্রিয় ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং ঈশ্বর, মা, বাবার থেকে সেই ব্যক্তিকে প্রাধান্য দেয় বেশি। যা কিনা সহজ কথায় বলা যায় পুরোটাই মোহ। তাই বলে আমি বলবো না যে মানুষ মানুষকে ভালবাসবে না কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। অতিরিক্ত কোন কিছুর ফল কি গড়ায়? যখন সেই ব্যক্তিটি অন্য কারো কাছে বদলি হয় তখন সেই মানুষটি অসহায় হয়ে পড়ে। তাকে ছাড়া কোনো কিছু চিন্তা করতে পারে না, অসহায় ভাবে নিজেকে। শুধু মাত্র কোন ব্যক্তির জন্য নয় বিভিন্ন কারনেই মানুষ নিজেকে নিঃস্ব ভাবে। আর শয়তান সেটাই চায়। শয়তান মানুষের মনে এমন ভাবে কাজ করে যে, মানুষ তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে একা ভাবে, সে ভাবে সে সব কিছু হারিয়ে ফেলেছে। একটি নতুন সকাল দেখতে পাওয়ার আনন্দে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ না দিয়ে তার কষ্টের কথা পুনরায় মনে করে এবং নতুন আরো কষ্টকর দিন শুরু করে। নিজেকে অসুন্দর, অকর্মা, গুনহীন এবং গুরুত্বহীন ভাবে। আর তাই শয়তান চায় ও দূরে বসে হাত তালি দেয়। আমরা কি একবারও ভেবেছি যে ঈশ্বরের মনের অবস্থা তখন কি হয়? কত কষ্ট পান তিনি? আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু তথ্য দিলাম নিঃসজ্ঞতা সম্পর্কে যে কিভাবে তা ভুলতে পারি:
নিঃসজ্ঞতা থেকে মুক্তিদেয় প্রভুর প্রেম। তার বাক্য। প্রভুকে স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে। নিজেকে প্রাধান্য দেবার মাধ্যমে। নিজ লক্ষে এগিয়ে চলবার মাধ্যমে। প্রতি নিয়ত প্রার্থনা। নিজের সব কিছুতে সন্তুষ্ট থেকে। কোন ভাল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে ইত্যাদি।
সবশেষে খুব পরিচিত এবং সহজ এবং ছোট্ট একটা কথা যা আমরা অনেক বার শুনেছি কিন্তু এই কথাটি অনেক বড় একটি সমাধান দেয় সবকিছুর ক্ষেত্রে তা হল: ‘নিজেকে কখনই একা ভাববো না পৃথিবীর কেউ না থাক পাশে, সব সময়ের জন্য ঈশ্বর সদাপ্রভু আমাদের ঠিক পাশে থাকেন।’