নওগাঁয় কুরবানির পশুর সংখ্যা পৌনে ৩ লাখ
আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ : ঈদ উল আজহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। বন্যার কারণে নওগাঁর পশু খামারি, ব্যবসায়ী ও গৃহস্থরা পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বন্যায় বিশেষ করে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট চলছে জেলা জুড়ে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নওগাঁয় ছোট-বড় ১০৮টি হাট-বাজার রয়েছে। স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৩৮টি। এর মধ্যে নওগাঁ সদরের ত্রি-মোহনী, মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া, সুতিহাট, নিয়ামতপুরের ছাতড়া হাট, মহাদেবপুরের মাতাজী, বদলগাছীর কোলা ও গোবরচাপাহাট, আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ, পত্মীতলার মধইল, ধামইরহাটের ইসবপুর, আগ্রাদ্বিগুন, রাণীনগরের আবাদপুকুর, সাপাহারের উমইল ও দিঘীর হাট, পোরশার গাংগুরিয়া ও মর্শিদপুর পশু কেনাবেচার বড় হাট। উপজেলার তিলাবদলী গ্রামের মামুন হোসেন বলেন, বন্যায় চারিদিক প্লাবিত। বাড়িতে লালন পালন করা খাসি হাটে নিয়ে এসেছি। যে খাসিটির দাম ১৮-২০ হাজার টাকা হওয়ার কথা ক্রেতারা সেটির দাম হাঁকছেন ১২-১৫ হাজার টাকা। গবাদিপশুর খাবারের সমস্যার কারণে দাম অনেকটাই কমে গেছে। নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাস জানান, জেলায় ছোট বড় প্রায় ৪৫৬ টির খামার আছে। এবার ঈদে জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টি। প্রায় ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫১টি পশু কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান