শিক্ষার অন্তরায় যখন ঝুঁকিপূর্ণ নদী পারাপার
ইব্রাহিম শেখ : শুষ্ক মৌসুমে কখনও গলা কখনও বুক পানি পেরিয়ে নিয়মিত আসতে হয় বিদ্যালয়ে। বর্ষা মৌসুমে নদীর ওপারের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে আসা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে পাহাড়ি এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা শিক্ষায় আরও পিছিয়ে পড়ে। বিদ্যালয়ে কমে যায় উপস্থিতি। এমনই জানালেন বান্দরবানের লামা উপজেলার এম. হোসেন পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াবুল হক।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি উপজেলার সদর থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার পূর্বে লামা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দূর্গম পোপা মৌজায় অবস্থিত। বিদ্যালয়টি লামা সদর ও রপসীপাড়া ইউনিয়নের সীমানায় হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী নদীর ওপার থেকে আসে। নদীর ওপারের অংহ্লাডুরী মার্মা পাড়া, ছিচাখইন মার্মা পাড়া, কলার ঝিরির মুখ, লক্ষণ ঝিরি, তাউ পাড়া, নয়া পাড়া ও এম. হোসেন পাড়া থেকে নদী পেরিয়ে শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুবিনুল ইসলাম ও জমাইতি ত্রিপুরা বলে, আমাদের খুব কষ্ট হয় নদী পেরিয়ে স্কুলে আসতে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র মোহন মন্ডল বলেন, বিষয়টি অনেকবার উপজেলা শিক্ষা মিটিংয়ে বলেছি।