কুরবানির পশুর বর্জ্য থেকেও শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা
আনোয়ার হোসেন : কোরবানীর পশুর বর্জ্য থেকে ভালো কিছু হতে পারে, এটা হয়তো অনেকের চিন্তার বাইরে। বর্জ্য অপসারনে নেয়া হয় নানান উদ্যোগ । নচেৎ এর দূর্গন্ধে এলাকায় টেকা দায় হয়ে যায়। অথচ সেই বর্জ্য থেকে শত শত কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায়। ইত্তেফাক
কোরবানীর পশুর কোন কিছুই ফেলনা নয়। আপাত দৃষ্টিতে মাংস আর আর চামড়া ব্যতিত কোরবানীর পশুর সব কিছুই ফেলনা মনে হয়। কিন্তু পশুর হাড়, রক্ত, নাড়িভূঁড়ি, মূত্রনালী, শিং, যৌনাঙ্গ, পায়ের খুর, গোবরেরও রয়েছে অর্থমূল্য। যার মাধ্যমে প্রতি বছর কয়েক শ’কোটি টাকা আয় করা সম্ভব।
আর চীন, থাইল্যান্ড, জাপান ও মিয়ানমার হচ্ছে এসব বর্জ্যরে বড় বাজার। পশুর হাড় দিয়ে ঔষধ তৈরি করা হয়। এছাড়াও সিরামিক, বোতাম, ঘর সাজানোর উপকরণ তৈরী হয় হাড় দিয়ে । চীন ও থাইল্যান্ডে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পশুর প্যানিস দিয়ে তৈরি হয় দামি ঔষধ। এক একটি প্যানিস ৬ থেকে ৭ ডলার পর্যন্ত মূল্যে বিক্রি হয়। পশুর নাড়ি দিয়ে অপারেশন সুতা, চর্বি দিয়ে সাবান, পায়ের খুর দিয়ে অডিও-ভিডিও কিপ কৈরি করা হয়।
এছাড়াও ট্যানারির উচ্ছিষ্ট চামড়া দিয়ে জুতার সোল, প্রক্রিয়াজাতকৃত চামড়ার উচ্ছিষ্ট দিয়ে সিরিশ কাগজ তৈরি হয়। গরু-মহিষের নাড়ি প্রক্রিয়াজাত করে উন্নতমানের খাবার তৈরি করা হয়। জাপানে ‘শোস্যাট রোল’ নামের জনপ্রিয় খাবারও নাড়িভূড়ি দিয়ে তৈরি হয়। আবার মহিষের শিংয়ের ডগা দিয়ে এক ধরনের খেলনা তৈরি হয় জাপানে।
আমাদের দেশে সচেতনতা না থাকায় কোটি কোটি টাকার বর্জ্যরে স্থান হয় ডাস্টবিনে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যদি প্রতি এলাকায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করা হয় তাহলে উচ্ছিষ্ট সংগ্রহ করা সহজ হয়। আর এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার রপ্তানী আয় সম্ভব। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বোষ বলেন, ‘এখনও বাংলাদেশের রপ্তানী পণ্যের তালিকায় হাড় ও শিংয়ের নাম উঠেনি। তবে গরু ও মহিষের শিংসহ পশুর বর্জ্য রপ্তানীর কথা আমিও শুনেছি। এ কাজ কারা, কিভাবে করে- তা আমার জানা নেই।’ সম্পাদনা : মোনা