ঢাবি উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান
তরিকুল ইসলাম সুমন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্বিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে যোগদান পত্রে স্বাক্ষর করে এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে সকাল ৯টার দিকে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কক্ষে বসেন গত বছর থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করে আসা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এই শিক্ষক। পরে সোয়া ৯টার দিকে উপাচার্য কার্যালয়ে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের কাছ থেকে যোগদানপত্র নিয়ে তাতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। সকাল ১০টার দিকে উপাচার্য কার্যালয়ের পাশে পুরাতন সিনেট ভবনে (সম্মেলন কক্ষ) উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে নতুন উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতি অনুযায়ী, বিদায়ী ও নতুন নিয়োগ পাওয়া উপাচার্যের উপস্থিতিতে দায়িত্ব হস্তান্তর হয়ে থাকে। বিদায়ী উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু সময় সমন্বয় হয়নি। তা ছাড়া নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে অবিলম্বে আদেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। তাই দ্রুত যোগদান করাই মহামান্য আচার্যের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধা।
ভোট ছাড়াই উপাচার্য প্যানেল চূড়ান্ত করা নিয়ে সমালোচনা এবং কয়েকজন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের করা মামলায় ওই প্যানেলের কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ার এক মাসের মাথায় গত সোমবার অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, আমার মূল কাজটাই হবে সকলকে ওউন করা। এখানে কে কোনপন্থি এগুলো উপাচার্যের বিবেচ্য বিষয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যিক মর্যাদার ব্যাপারে সবাই যেন আমরা সচেতন থাকি, সকলের দায়িত্ব যেন যথাযথ পালন করি সেটা চাইব। জাতির জনকের একটি কথা আছে, তিনি যখন জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন করছিলেন, বলেছিলেন ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’। আমরা যেন এই নীতিটি অক্ষুণœ রাখি।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে উদ্যোগ নেবেন কি নাÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, ডাকসুর বিষয়টি একক কোনো সিদ্ধান্তে হয় না। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী