দুরুদ শরীফ পাঠের ফজিলত
মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান
হাদিস: হযরত আবু তালহা (রা.) হতে বর্নিত হাদিসে আল্লাহর রাসূল মোহাম্মদ (সা.) বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম)বললেন, হযরত জিব্রাইল (আ) এ মাত্র আমার নিকট এসে বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন, হে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) আপনি কি একথায় আনন্দিত হবেন না যে, আপনার কোনো উম্মত যদি আপনার প্রতি একবার দুরূদ শরীফ পড়ে, তাহলে আমি তার উপর ১০টি রহমত নাযিল করি। আর যদি একবার আপনাকে সালাম দেয়, তাহলে আমি তার উপর ১০টি সালামতি (নিরাপত্তা বিধান) নাযিল করি।
হাদিস-২: হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন, তোমরা আমার কবরকে ঈদের স্থান বানাইওনা। আমার উপর দুরূদ পড়। কেননা তোমরা যে অবস্থায় থাক না কেন, তোমাদের দুরূদ আমার নিকট পৌঁছে।
হাদিস-৩: হযরত আনাস (রাঃ) থেতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরূদ পাঠ করবে আল্লাহ তার প্রতি ১০টি রহমত নাযিল করেন, ১০টি গুনাহ মাফ করেন এবং তার জন্য ১০টি মরতবা উচ্চ করেন।
হাদিস-৪: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন- যখন বৃস্পতিবার রাত আসে তখন আল্লহ এমন কতগুলো ফেরেশতা প্রেরণ করেন যাদের হাতে রুপার কাগজ ও স্বর্ণেও কলম থাকে, যা দ্বারা বৃস্পতিবার দিন ও শুক্রবার রাতে দুরূদ শরীফ পাঠকারীদের দুরূদ শরীফ সমূহ লিখতে থাকে।
হাদিস-৫: ইমাম ইবনে মাজাহ (রহঃ) হযরত আব্দুল্লা ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন, হুজুর ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর দুরূদ শরীফ পড়া ভুলে গেছে মূলত সে জান্নাতের পথই ভুলে গেছে।
(ইবনে মাজাহ, পৃষ্টা নং-৬৫)
হাদিস-৬: হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একদিনে হাজার বার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, বেহেশতে তার স্থান না দেখা পর্যন্ত সে মৃত্যু বরণ করবে না।
লেখক: শিক্ষক
সম্পাদনা: আশিক রহমান