আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ : খাদ্যে উদ্বৃত্ত জেলা হয়েও নওগাঁয় ঈদের পর পাইকারি ও খুচরা বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ৩-৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিকেজি নাজিরশাইল পূর্বে ছিল ৫৪-৫৫ টাকা, বর্তমানে ৫৮-৬০ টাকা, বিআর-২৮ পূর্বে ছিল ৪৫-৪৬ টাকা, বর্তমানে ৫০-৫২টাকা, জিরাশাইল পূর্বে ছিল ৫০-৫২ টাকা, বর্তমানে ৫৫-৫৬ টাকা, পারিজা পূর্বে ছিল ৪০-৪২ টাকা, বর্তমানে ৪৪-৪৬ টাকা, স্বর্ণা পূর্বে ছিল ৩৫-৩৬ টাকা, বর্তমানে ৪০-৪২ টাকা, এলসি পূর্বে ছিল ৪০-৪২ টাকা, বর্তমানে ৪৪-৪৬ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। গত ১৩দিনে প্রতিকেজি চালের দাম ৩-৫ টাকা এবং ৫০ কেজি ওজনের বস্তা প্রতি ১৫০-২০০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।নওগাঁ জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ‘সরকার আমদানিকে উৎসাহিত করার জন্য ২৮ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ২ শতাংশে নিয়ে আসছে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য সরকার দেশে শুল্ক প্রত্যাহর করলেও প্রতিবেশি দেশ ভারত চালের দাম বৃদ্ধি করে। চালের আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চালের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমান বলেন, নওগাঁ একটি খাদ্য উৎপাদন উদ্বৃত্ত জেলা। বন্যার কারণে এ জেলায় প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়। বর্তমানে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাজার কর্মকর্তাকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এবং মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। আশা করছি শিগগিরই চালের দাম বৃদ্ধির কারনটা উৎঘাটন করতে পারব। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান