তুর্কি কোম্পানির চকলেটে অ্যালকোহল বর্জনের সিদ্ধান্তে বিতর্ক
হারেৎজ : বেলজিয়ামের বিলাসবহুল চকোলেট কোম্পানি গোডিভা। ৯০ বছরের পুরনো কোম্পনিটি বিশ্বের সেরা চকলেট ব্রান্ড হিসেবে পরিচিত। তবে এটি এখন সম্পূর্ণরূপে একটি তুর্কি মালিকানাধীন কোম্পানি কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। এ কারণে এটিতে এখন আর অ্যালকোহল ব্যবহার হচ্ছে না। তবে এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
পিয়েরে ড্রেপস নামে এক ব্যক্তি ১৯২৬ সালে ব্রাসেলসে এটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ইংলিশ নারী লেডি গোডিভা’র নামে এর নামকরণ করা হয়।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে গোডিভা চকোলেট কেবল বেলজিয়ামেই পাওয়া যেত। ১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো কোম্পানিটি প্যারিসে তার শাখা চালু করে। পরের দশকে এটি আটলান্টিক অতিক্রম করে নিউইয়র্কে তার শাখা খুলে। পরে আমেরিকান ফার্ম ক্যাম্পবেল স্যুপ কোম্পানী এটি অধিগ্রহণ করে। মাত্র ১৫ বছরের মধ্যে ক্যাম্পবেল গোডিভার বার্ষিক বিক্রয়কে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। কিন্তু ২০০৮ সালের মার্চে ক্যাম্পবেলও কোম্পানির শেয়ার ছেড়ে দেয়। তুর্কি মালিকানাধীন ইলদিজ কোম্পানি এটি ৮৫০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয়। ইলদিজ গোডিভাকে আরো সম্পপ্রসারিত করেছে। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে কোম্পানিটির প্রায় ৬০০ দোকান রয়েছে।
বেলজিয়ামের ফিনানসিয়াল সংবাদপত্র ল ‘ইকো জানায়, গত বছর তুরস্কের অভ্যুত্থানে চেষ্টার কারণে ইলদিজ কিছু সমস্যায় পরেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে ইলদিজের মালিক বিলিয়নিয়ার মুরত উলকারের সংযোগ ছিল বলে সংবাদমাধ্যমটি জানায়। তবে এটিকে গুজব বলে অস্বীকার করেন উলকার। সম্প্রতি গোডিভার চকোলেটসহ সব ধরনের পণ্যে অ্যালকোহল বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বেলজিয়ামের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান গোডিভার একজন তুর্কি পরিচালক।
রোববার বেলজিয়ামের ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম ‘লা লিব্রা’র খবরে বলা হয়, ‘মুসলিম জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করেই কি এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে?’ এতে আরো বলা হয়, গোডিভা কি তার নীতিমালাকে কোরআনের নীতিতে খাপ খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে?’
তবে, গোডিভার একজন মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেন যে তাদের এই সিদ্ধান্তের সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে একই ধরনের পণ্য সরবরাহ করার একটি বিপণন কৌশল এটি।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ