ঘুরে দাঁড়াতে চায় নওগাঁর বানভাসি কৃষকরা
আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ : বানের পানি নেমেছে কিছুদিন আগে। বসতবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে নওগাঁর বন্যাদুর্গত মানুষ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যায় এ বছর জেলায় ৫৪ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্রায় ৫০৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরবর্তী করণীয় ১১ হাজার লিফলেট বিতরণ করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে বীজ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ৬০০ কৃষককে ধানের চারা বিতরণ করা হয়। গত ১৩ আগস্টের বন্যায় জেলার ১১টি উপজেলায় ৭২টি ইউনিয়নের ৫শ’ ৮১টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়। ফলে এসব এলাকার ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৬ জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। নওগাঁ সদর উপজেলার গাংজোয়ার গ্রামের বর্গাচাষী ইদ্রিস আলী বলেন, বর্গা নিয়ে তিন বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছিলেন। বন্যায় সব জমি তলিয়ে ফসল নষ্ট হয়ে পঁচে গেছে। বাজারে ধানের চারা দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পুন (৮০আটি)।
যেখানে খাবারের সমস্যা। সেখানে এতো টাকা দিয়ে ধানের চারা কেনা সম্ভব না। বর্গাচাষী বলে কৃষি কার্ড না থাকায় সরকারি কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক বলেন, বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কৃষক যেন আরো পুষিয়ে নিতে পারে এজন্য কৃষি অফিসের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রণোদনার মাধ্যমে চারটি ফসল ভুট্টা, সরিষা, মুগ ও গুটি বেগুনের বরাদ্দ আসছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান