পিছিয়ে থেকেও জিতল রাজশাহী
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭৯ রানে অলআউট। স্বাগতিক রাজশাহীর এমন ব্যাটিং বিপর্যয় স্বস্তির হাসি ফুটিয়েছিল অতিথেয়তা নিতে আসা সিলেট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হেসেছ রাজশাহী বিভাগই। সিলেটকে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটের বিনিময়ে।
দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচে শেষ দিন জয়ের জন্য রাজশাহীর প্রয়োজন ছিল ১২৬ রান, সিলেটের ৮ উইকেট। প্রথম সেশনেই ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহীকে ২১২ রানের সহজ টার্গেট দেয় সিলেট বিভাগ। রোববার তৃতীয় দিন ২ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান তোলে রাজশাহী। জুনায়েদ সিদ্দিকী ২৮ এবং ফরহাদ হোসেন ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
গতকাল দিনের শুরু থেকেই দ্রুত রান তোলেন রাজশাহীর অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান। সিলেটের বোলাররা কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেননি। দলীয় ১৩৬ রানে জুনায়েদ সিদ্দিকী ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতে শাহানুর রহমানের বলে আউট হন। ৭৩ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ রান করেন জুনায়েদ।
চতুর্থ উইকেটে ৬৭ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ফরহাদ হোসেন ও মাইশুকুর রহমান। জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে ফরহাদ শাহানুরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। ৯৯ বলে ৭০ রান করে আউট হন ফরহাদ হোসেন। জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন মাইশুকুর রহমান ও ফরহাদ রেজা। মাইশুকুর ৩৭ ও ফরহাদ রেজা ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১২৮ রান করে ৪৯ রানের লিড পায় সিলেট। কারণ রাজশাহী প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৯ রানে। স্পিনার সায়েম আলম রিজভী ৩২ রানে ৬ উইকেট নিয়ে রাজশাহীকে একাই গুঁড়িয়ে দেন। প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করতে পারেনি সিলেট। রাজশাহীর দাপুটে বোলিংয়ে ১৬২ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। রাজশাহী ম্যাচ জিতলেও প্রথম ইনিংসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সিলেটের সায়েম আলম।