পুরনো কাপড় আমদানির নামে যা হচ্ছে
জাফর আহমদ : এক সময় বিদেশ থেকে সাহায্য হিসাবে পুরাতন কাপড় আসতো। এ কাপড় দেশের দরিদ্র মানুষেরা ব্যবহার করতো। এরপর দেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রধান দেশ হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত আছে। তারপরও বিদেশ থেকে পুরাতন কাপড় কেন আমদানি হচ্ছে এবং এর পেছনে বিদেশে টাকাও যাচ্ছে। সত্যি কি বিদেশে থেকে পুরাতন কাপড় দেশে আসছে? নাকি পুরাতন কাপড় আমদানির আড়ালে অন্য কিছু আসছে-এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলসি (ঋণপত্র) সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের শুধু জুলাই মাসে ১১ কোটি ৮০ লাখ ৮০ হাজার টাকার এলসি খোলা হয়েছে। নিষ্পত্তি হয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার পুরাতন কাপড় আমদানির এলসি। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলেছে ১১ কোটি টাকার এলসি খোলা বা দেড় কোটি টাকার পুরাতন কাপড় আমদানির জন্য কত টাকা খরচ করা হচ্ছে, নাকি তৈরি পুরাতন কাপড় আমদানির নামে বিদেশ থেকে দেশে তৈরি হয় এমন কাপড় দেশে আসছে। অথবা অন্য কিছু দেশে আসছে? কারাই বা এ পোশাক কিনছে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, পুরাতন কাপড়
আমদানির জন্য ২০১৬/১৭ অর্থবছরে এলসি খোলা হয়েছে ৮ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার টাকার। নিষ্পত্তি হয়েছে ২০ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার এলসি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এলসি খোলা হয়েছে ৪৩ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার টাকার। এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৫ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব হোসেন