খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
২০১৭ সালের এপ্রিলে পৃথিবীর জনসংখ্যা ৭.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৮৫ তে জনসংখ্যা ছিলো ৫ বিলিয়ন। ১৮০০ সালে জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১ বিলিয়ন। যীশু খ্রিস্টের জন্মের সময় সেই সংখ্যা ছিলো মাত্র ১/৪ বিলিয়ন, অর্থাৎ প্রায় ২৫০ মিলিয়ন। বাইবেল অনুযায়ী প্রায় ৬০০০ বছর আগে ঈশ্বর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন (পৃথিবীর বয়স কত)। প্রায় ৪,৪০০ বছর আগে সারা পৃথিবীব্যাপি জলপ্লাবণে সবাই মারা যায়, শুধু মাত্র ৮ জন ব্যক্তি নোহের জাহাজে বেঁচে থাকে। উপরের জনসংখ্যার উর্ধ্বগতি তাই প্রমাণ করে।
যদি বিবর্তনবাদ সত্য হতো, তাহলে ঘটনাটা হতো সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিবর্তনবাদিরা বিশ্বাস করে ফসিল (জীবাশ্ম) রেকর্ড প্রমাণ করে পৃথিবীর বয়স কোটি কোটি বছর। কিন্তু বাইবেল বলে এই সব ফসিল নোহের জলপ্লাবণের ফল। ৪,৪০০ বছর আগের জলপ্লাবণে প্রায় সব পশু-পাখি এবং মানুষ মারা যায় এবং মাটির নিচে চাপা পড়ে ফসিলে রূপান্তরিত হয়। বিবর্তনবাদিরা এই জলপ্লাবণে বিশ্বাস করে না, কারণ তারা বাইবেল বিশ্বাস করে না। বরং তারা বিশ্বাস করে ২ হাজার কোটি বছর আগে বিগ ব্যাং-এর মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি হয়। ২৮ কোটি বছর আগে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষ সৃষ্টি হয়। কিন্তু যদি তাই হয় এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি যদি সর্বনিম্নও ধরা হয়, যেমন ১ লক্ষ বছরে দিগুন হয়। তাহলেও বর্তমান জনসংখ্যা প্রকান্ড আকার ধারণ করবে। সংখ্যাটা দাড়ায় ১ এর পেছনে ১০০টা শূন্য। অর্থাৎ:
১০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০।
বাংলায় এটাকে কিভাবে বলে জানি না। তবে এক সময় ইংরেজীতে এটাকেই বলা হত ‘গুগল’। এইসব সূত্রই প্রমাণ করে বাইবেলের দেয়া সৃষ্টির ইতিহাস ১০০ ভাগ সত্য। ঈশ্বর ৬০০০ বছর আগে সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। ৪,৪০০ বছর আগে বিশ্বব্যাপি জলপ্লাবণে ৮ জন ছাড়া বাকি সবাই মারা যায়।এমন হাজারও সূত্র সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। যা ঈশ্বরের দেয়া বাইবেলের সৃষ্টির ইতিহাসকে সত্য প্রমাণ করে। কিছু বিবর্ততবাদির বিশ্বাসকে চোখ বন্ধ করে স্বীকৃতি না দিয়ে এই সব বিষয় বিশ্লেষন করলে নিজেই এই প্রমাণ বের করা সম্ভব।