গণেশ
সিদ্ধির অধিষ্ঠাত্রী দেবতা অর্থে ঈশ্বরের নাম গণেশ। আগে সিদ্ধিকামনা করেই লোকে সব কাজে হাত লাগায়। সুতরাং সব দেবতার আগেই গণেশের পূজার নিয়ম হয়েছে। ইঁদুর নানা রকম বস্তু কেটে দেয়, সুতরাং বিঘœছেদনকারীর বাহন কল্পনা করতে ইঁদুরই সুসঙ্গত হয়। বিঘœস্বরূপ অন্ধকারের কাছে জ্যোতিস্বরূপ বলে গণেশের গায়ের রং সিঁদুরের মতো। হাতি যেমন শুঁড় দিয়ে জল তুলে ইচ্ছা মতো পান করে বা ফুঁ দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়, সেই রকম গণেশও ইচ্ছামতো বিঘœরাশি তুলে দূরে ফেলে দিতে পারেন। তাই তাকে গজানন (অর্থাৎ, যার হাতির মতো মুখ) বলে বর্ণনা করা হয়েছে। সমস্ত সিদ্ধি তিনি নিজেতে সঞ্চিত করে রেখেছেন, তাই তাকে লম্বোদর বলে।