৫২৮ টন কাঁচাপণ্য ধ্বংস করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম
মোনা হক : আমদানি পণ্য সময়মতো খালাস না করায় ২১ কনটেইনারের ৫২৮ টন কাঁচাপণ্য ধ্বংস করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের নিলাম শাখা। এর মধ্যে ১৮ কনটেইনারে ৪৬৭ টন মাল্টা, দুই কনটেইনারে ৪৭ টন আপেল ও এক কনটেইনারে ১২ টন পেঁয়াজ রয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ১০ কনটেইনার ধ্বংস করা হয়। গতকাল ১১ কনটেইনার পণ্য সহকারী কাস্টম কমিশনার আহ্সান উল্লাহর উপস্থিতে হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় ধ্বংস করা হয়। ভোরের কাগজ
কাস্টম সূত্রে জানা যায়, নিলামযোগ্য পণ্য নিলাম করার আগে কাস্টম কর্তৃপক্ষ ইনভেন্ট্রি (তালিকা) করে। এ সময় কোনো পণ্য ব্যবহার অনুপযোগী বা নষ্ট হলে ওইসব পণ্য কাস্টম কর্তৃপক্ষ ধ্বংস করে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় বছরের বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি হওয়া কাঁচাপণ্য আমদানিকারকরা সময়মতো খালাস না করায় কাস্টম কর্তৃপক্ষ ইনভেন্ট্রি করে ২১টি নষ্ট পণ্যে কনটেইনার পায়। এতে চট্টগ্রামে সাত ও ঢাকার দুই আমদানিকারক ২১ কনটেইনারে মোট পাঁচ লাখ ২৮ হাজার কেজি কাঁচাপণ্য রয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মাল্টা, আপেল ও পেঁয়াজ।
চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চিটাগং ফোল ব্যানজো লিমিটেড এ বছরের মার্চ মাসে এক কনটেইনার ২৫ হাজার কেজি মাল্টা আমদানি করে। এ কনটেইনারটি ধ্বংস তালিকার প্রথমে রয়েছে। ধ্বংস তালিকার দুইয়ে থাকা কনটেইনারটি একই মাসে আমদানি করে চট্টগ্রামে আরেক আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এফ ট্রেডিং করপোরেশন। এতে মাল্টার পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার কেজি। এ প্রতিষ্ঠানের এপ্রিল মাসে আমদানি করা সমপরিমাণ আরেকটি কনটেইনারও ধ্বংস তালিকায় রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন লটে ছয় কনটেইনারে মোট ১৫৭ মেট্রিক টন মাল্টা আমদানি করে চট্টগ্রামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মরিয়ম এন্টারপ্রাইজ। সময়মতো খালাস না করায় এগুলোও ধ্বংস তালিকায় রয়েছে। এ তালিকা থাকা দুই কনটেইনার আপেল আমদানি করে ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রামিসা এন্টারপ্রাইজ। এতে আপেলের পরিমাণ ৪৭ হাজার কেজি। ঢাকার আরেক প্রতিষ্ঠান শোরভ এন্টারপ্রাইজের এক কনটেইনার মাল্টাও এ তালিকায় আছে।