আকাশসেবায় বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যে চুক্তি
ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যে সম্প্রতি একটি এয়ার সার্ভিস এগ্রিমেন্ট (এএসএ) সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরে দুবাইয়ের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং ইউএইর অর্থমন্ত্রী ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর জেনারেল সুলতান বিন সাইদ আল মনসুরি নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। বণিক বার্তা
চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বিমান বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের এয়ারলাইনারগুলোর বর্ধিত ফ্রিকোয়েন্সি ও রুট সুবিধা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এএসএ চুক্তির মধ্য দিয়ে ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ার সফল রূপায়ণ সম্ভব হলো।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে রাশেদ খান মেনন জানান, বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু গত কয়েক বছর বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা না দেয়ায় এ সম্ভাবনার বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে এ ভিসা পুনরায় প্রদানের জন্য তিনি ইউএইর প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বাংলাদেশে এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে বিনিয়োগ, বিশেষজ্ঞ প্রেরণ, একাডেমিক ও প্রশাসনিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেন। ইউএই কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে প্রশিক্ষিত ফ্লাইট ক্রু, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার, এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার ও কেবিন ক্রু রয়েছেন। এ দক্ষ জনশক্তিকে নিয়োগ দেয়ার জন্য ইউএইর আকাশসেবা সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি।
ইউএই কর্তৃপক্ষ আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরকালে ভিসা প্রক্রিয়া চালুসহ সব বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। সম্পাদনা : মোনা হক