চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা খুন প্রতিবাদে যানবাহন ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ
ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও মো. শহীদুল ইসলাম (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সোয়া ৭ টার দিকে নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সুদীপ্ত বিশ্বাস সদরঘাট দক্ষিণ নালাপাড়ার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন।
এদিকে এ হত্যার প্রতিবাদে নগরীর নিউমার্কেট মোড়ে যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুদ্ধ একদল ছাত্রলীগ কর্মী। বেলা পৌনে ৪ টার দিকে সিটি কলেজের শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নিউ মার্কেট মোড়ে এসে ভাংচুর চালায়। এসময় তারা দুটি বাস ও কয়েকটি অটোরিকশা ভাংচুর করে। অন্য দুটি বাসে ভাংচুর ও আগুন দেয়।স্থানীয়রা জানান, ছাত্রলীগ কর্মীরা যানবাহনে ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার পর নিউ মার্কেট মোড়ে কিছুক্ষণ অবস্থায় নেয়। এসময় আশপাশের যানবাহন বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে তাদেরধাওয়া দিয়ে সিটি কলেজের দিকের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) কোতয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নগরীর নালাপাড়া এলাকার এক ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছে। ওই ঘটনায় সিটি কলেজের বিক্ষুব্ধ এক দল ছাত্র যানবাহন ভাংচুর ও আগুন দেয়। চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স শেষ করা সুদীপ্ত মহানগর ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কে বা কারা কি কারণে তাকে হত্যা করতে পারে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
সদরঘাট তানার ওসি মর্জিনা আরও জানান, সকালে দুটি ছেলে এসে সুদীপ্তকে বাসা থেকে ডেকে বের করে নিয়ে যায়। তারা একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তবে সুদীপ্তকে বাসা থেকে কারা ডেকে নিয়ে গেছে। তারা কি দুই ছিল নাকি খুনের ঘটনায় আরও কয়েক জন ছিল সেটা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।
ছাত্রলীগ নেতারা জানান, সিটি কলেজ পাড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির জড়িয়ে পড়েন সুদীপ্ত। গ্রুপিং এর কারণে নগর কমিটি থেকে বাদ পড়ে সুদীপ্ত বিশ্বাস নতুন কমিটির বিরোধিতা করেছিলেন। পরে তাকে সহ-সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। এরপর থেকে সুদীপ্ত নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করে আসছিলেন। ইমু নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান