নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের প্রস্তাব আগে কেউ দেয়নি, তবে ইসির সীমাবদ্ধতা রয়েছে সংলাপে বিএনপির ২০ দফা প্রস্তাব
সাইদ রিপন : বিএনপির দেওয়া প্রস্তাবনা গবেষণাধর্মী। নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের প্রস্তাব এর আগে কেউ দেয়নি। তবে নির্বাচন কমিশনেরও কিছু বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বিএনপির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। তবে বৈঠকে বিএনপির দেওয়া ২০ দফা প্রস্তাবনার বিষয়ে ইসি সরাসরি কোনো দ্বিমত পোষণ করেননি। এমনকি বিএনপির পক্ষ থেকে ইসির সঙ্গে কোনো ধরনের বিতর্কমূলক আলোচনা হয়নি। বৈঠকে ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন সেগুলো নিয়েছেন। দেখা যাক তারা কি করেন। সংলাপ থেকে বের হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনের খুব বেশি কিছু করার নেই। তারপরও এই সংলাপের পর বিএনপি কিছুটা আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, সংলাপে আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনও তাদের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেছে। তবে রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ আয়োজন ও সহায়ক সরকারের যে দাবির কথা তাদের বলেছি, সেই ব্যাপারে কমিশন তাদের ক্ষমতার মধ্য থেকে কিছু করার চেষ্টা করবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।
অন্যদিকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির পক্ষ থেকে যেসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে ইসি এটা স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সঙ্গে বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর কোনো বিতর্ক হয়নি। তবে বিএনপির প্রস্তাবের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিছু কিছু ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা কথা বলেছেন।
সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার গঠন ও সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরিসহ ইসিকে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, রাজনৈতিক দলের সাথে সরকারের কার্যকর সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ, রাজনৈতিক দলের সভাসমাবেশসহ সব স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনার অধিকার নিশ্চিতকরণ, প্রশাসন দলীয় প্রভাবমুক্তকরণ, ইভিএম/ডিভিএম যন্ত্র ব্যবহার না করা, নির্বাচনি সীমানা পুনর্বহাল, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা, ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, প্রবাসী নাগরিকদের ভোটাধিকার দেওয়া, আরপিও সংশোধন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং নির্বাচনের কমপক্ষে এক সপ্তাহ আগে থেকে নতুন সরকারের দায়িত্বগ্রহণ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল ক্ষমতাসহ প্রতিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন, নির্বাচনের আগে বিএনপির কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি ও সব কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে দলটি। তাছাড়া সংলাপে বিএনপির ১৬ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু