যুদ্ধাপরাধীদের দল গঠন ছিল বহুদলের নমুনা
অ্যাডভোকেট অপু উকিল : বাংলাদেশের রাজনীতিতে জিয়াউর রহমান অবশ্যই বহুদলের প্রবক্তা। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার নামে বাংলাদেশে ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোকে, বিশেষ করে যারা ধর্মের অপব্যবহার করে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করেছে এবং সেই দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। বিএনপির সঙ্গে সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে কথাটি বলেছেন, তা ঠিকই বলেছেন। জিয়াউর রহমান গোলাম আজমকে নাগরিত্ব দিয়ে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের খুনিদেরকে তিনি ফ্রিডম পার্টি করার সুযোগ দিয়েছেন। যারা লিবিয়া গিয়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শেষ করে দেশে ফিরে, সেই সমস্ত যুবকদের নিয়ে ফ্রিডম পার্টি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি জামায়াত বা যুদ্ধাপরাধীদেরকে দল গঠন করার সুযোগ করে দেন। বহুদলের প্রবক্তা তো অবশ্যই জিয়াউর রহমান। এবং সেই দলগুলো হলো এমন, যারা বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধূলিসাৎ করে এবং একটি পাকিস্তানি ভাবধারার রাষ্ট্র তৈরি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। আমার মনে হয়, সিইসির বক্তব্যে হয়তো সেই জিনিসটি চলে এসেছে, বহুদলীয় রাজনীতি করবার সুবাধে।
সিইসি আরেকটি কথা বলেছেন যে, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে বিএনপি সরকার দেশে প্রকৃত নতুন ধারার প্রবর্তন করেছে।’ বিএনপির নতুর ধারা সেটাই ছিল, নতুন প্রজন্মের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে পিকনিকের নাম করে জাহাজে নিয়ে তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া। যুব সমাজের মধ্যে নেশা ঢুকিয়ে দিয়ে তাদেরকে বিভ্রান্ত করে রাখা। তারা যেন তাদের চেতনাবোধ থেকে সরে এসে জিয়াউর রহমানের যে অবৈধ শাসন ব্যবস্থা, সেটির বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন করতে না পারে, সেজন্য যুব সমাজের চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। মানুষকে দিনের পর দিন জিম্মি করে কারফিউ জারি করে এবং প্রতিদিন সেনাবাহিনীর অফিসার-সৈনিকদেরকে হত্যা করেছিল।
পরিচিতি : সাধারণ সম্পাদক, যুব মহিলা লীগ ও সাবেক এমপি
মতামত গ্রহণ : বায়েজিদ হোসাইন
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ