ছাই হয়ে নিজের শহরে মিশে যেতে চান ১৩ নারীর সিরিয়াল খুনি
পরাগ মাঝি : চেহারা দেখে যতোটা সৌম্যদর্শন ও নিরীহ মনে হয় যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারের পিটার সুতক্লিফে তারচেয়ে হাজার গুন ভয়ঙ্কর এক ব্যক্তি। ১৩ জন নারীকে হত্যা করে তিনি নাম লিখিয়েছিলেন পৃথিবীর অন্যতম কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের তালিকায়। জেলে বসে এবার তার স্বাদ হয়েছে, যে শহরে নারীদের খুন করেছিলেন সে শহরেরই মাটির সঙ্গে মিশে যেতে চান তিনি, আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে। এই শহরটি তার নিজেরও শহর। আর এর মধ্য দিয়ে তিনি নেইল জ্যাকসনকে দেখিয়ে দিতে চান যে, তার ভাবনা সত্যি নয়। কারণ নেইল বলেছিলেন, জেল থেকে পিটারের ফিরে আসা কখনোই সম্ভব নয়। বর্তমানে ৫৯ বছর বয়সী নেইল জ্যাকসন হলেন, পিটারের হাতেই খুন হওয়া নারী এমিলির সন্তান। ১৯৭৬ সালে ৪২ বছর বয়সে এমিলি পিটারের শিকারে পরিণত হয়েছিলেন।
৭১ বছর বয়সী পিটারকে ১৯৮১ সালে খুনের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আদালত তাকে ২০ বার যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে। জেলের অন্ধকার ছাড়া পৃথিবীর আলো দেখার, তার আর কোনো উপায় নেই। তিনি মেনেও নিয়েছেন এটি। কিন্তু নিজ শহরে ফিরে যাওয়ার খায়েশ এখনো রয়েছে তার। তিনি তার ছোটভাই ও বন্ধুদের কাছে এই ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। অনেক মানুষের দুঃখ ও ক্ষোভের কারণ এই পিটারের ইচ্ছা, মৃত্যুর পর যেন তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আর তাকে পুড়ানো ছাইগুলো যেন মিশিয়ে দেওয়া হয় পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ছোট্ট বিংলে শহরে। এ শহরেই ১৯৭৫ থেকে ৮০ সালের মধ্যে খুনগুলো করেছিলেন।
সাধারণত যাবজ্জীবন এবং মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ব্যক্তির শেষ ইচ্ছাকে মূল্যয়ন করা হয় ব্রিটিশ কারাগারগুলোতে। তবে, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ভিন্নও হতে পারে। ইতোপূর্বে শিশু হত্যাকারী ইয়ান ব্রাডিকে তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী, সমাহিত করা হয়নি। ডেইলি মেইল