ভিআইপি লাউঞ্জে ঢোকার অনুমতি পান মির্জা ফখরুলসহ ৪ জন
কিরণ সেখ ও মাঈন উদ্দিন আরিফ : বিমান থেকে নামার পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪ জনকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে থাকার অনুমতি দেয়া হয়। বিএনপির সহ-শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ উজ জামান মামুন মোল্লা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিমানবন্দররের ভেতরে থাকার জন্য বিএনপির ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তবে বিমান কর্তৃপক্ষ ৪ জনকে অনুমতি দেন। তারা ম্যাডামকে অভ্যর্থনা জানিয়ে রিসিভ করবেন।
যাদেরকে বিমানবন্দরের থাকার অনুমতি দেয়া হয় তারা হলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুম, দেহরক্ষী মাসুদ রানা ও গুলশান কার্যালয়ের কর্মচারী জসিম।
এদিকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, বিমানবন্দরে ঢুকতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাঁধা দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে সংবর্ধনা জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে তাদের দল। কিন্তু তারা বিমানবন্দরে ঢুকতে পারছেন না।
গতকাল বিকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালের প্রবেশপথে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের মির্জা আব্বাস বলেন, দলের চেয়ারপারসনকে সংবর্ধনা দিতে আমরা বিমানবন্দরে এসেছি। কিন্তু আমাদেরকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে দেশে ফিরলে তাকে বিমানবন্দরে বিনা বাধায় সংবর্ধনা দেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু আমরা আজ বিমানবন্দরে ঢুকতে পারছি না।
ভিআইপি টার্মিনালের কাছে মসজিদের সামনে অবস্থান নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে খালেদা জিয়ার দেশে আসাকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর এলাকায় প্রচুর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। এই দিকে রাস্তা সচল রাখতে বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত প্রায় তিন’শ ট্রাফিক র্ফোস মোতায়ন করা হয় বলে জানান ট্রাফিক উত্তরের ডিসি প্রবিন কুমার রায়। একই সাথে রাস্তায় যেন কোন মিছিল বা অবস্থান না নিতে পারে সেই জন্য মাইকিং করতেও দেখা গেছে পুলিশকে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু