‘রোহিঙ্গা নির্যাতন আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়’
এম. আমান উল্লাহ, কক্সবাজার : কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে জর্ডানের রানি রানিয়া আল আব্দুল্লাহ রোহিঙ্গাদের কাছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের কথা শুনেন। এসময় তিনি বলেছেন, নির্যাতনের বর্ণনা মতে এটি আয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানায়। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা হয়েছে, সেটা জাতিগত নিধন। নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা ঘটেছে তা অমানবিক। জর্ডান নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে রয়েছে এটি জানাতে আমি এখানে এসেছি। জর্ডান সরকার মিয়ানমারের এমন হত্যাকা-ের তীব্র নিন্দা জানায়।
রানি বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যে মানবিকতা দেখিয়েছে, তার জন্য ধন্যবাদ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে জর্ডান ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে জানান তিনি। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ শেষে জর্ডানের রানি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তথ্যমতে কক্সবাজারের এ এলাকায় এখন স্থানীয়দের চেয়ে আশ্রিতের সংখ্যা দ্বিগুন। বাংলাদেশ নিজেদের নানা দিকে ক্ষতির পরও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। যা বিশ্ব দরবারে প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। এসময় তিনি নিপীড়িত মানবতা রক্ষায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে সবার প্রতি অনুরোধ করে বলেন, আশ্রিতদের অধিকাংশই নারী-শিশু ও বৃদ্ধ। জাতিসংঘের উচিত এদের বিশেষ যতœ নেওয়া। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে নিরলস কাজ চালাতে জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
রানি রোহিঙ্গা বস্তি ও আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক এনজিও পরিচালিত স্কুলগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে খেলায় অংশ নেন ।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রানির সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী চুমকি, সাংসদ সায়মুন সরকার কমল, সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিকসহ কক্সবাজার জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান