বিপ্লব হালদার
মহালয়া থেকে শুরু হয়ে যায় উৎসবের পালা চলে বিসর্জনের দিন পর্যন্ত। দশমীর দিন ঘরে ফিরে যায় উমা, উমার ঘরে ফেরার বিশাদে বিষন্নতা কাটাতে আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালি। মাকে বরণ করে সিঁদুর খেলে হাসি মুখে বিদায় জানায় ঘরের মেয়েকে।
পুরান মতে, মহালয়া থেকে শুরু দেবীপক্ষ বছরে একবার মাত্র দশ দিনের জন্য মা দুর্গা তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বাপেরবাড়ি আসে, এক বছর পর ঘরে ফিরে আসে উমা মেয়ের ঘরে ফেরার আনন্দে জোরকদমে শুরু হয়ে যায় প্রস্তুতি, সেজে উঠে উমার ঘর মেয়েকে তার পচ্ছন্দের খাবার রেঁধে খাওয়ানো হয়।
দশমী আসতেই উমাকে তার শ্বশুড়বাড়ি পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় রীতি নীতি মেনে মেয়েকে শ্বশুড়বাড়ি পাঠানো হয়, বিদায়ের আগে সিঁদুর খেলা হল অন্যতম রীতি কারণ, মা দুর্গাকে বাঙালিরা বিবাহিতা নারী হিসাবে মনে করে, হিন্দু রীতি অনুযায়ী সিঁথির সিঁদুর আসলে বিবাহিতা নারীর চিহ্ন। অনেকের বিশ্বাস, যথাযথ রীতি মনে সিঁদুর খেলা হলে অকালে কোনো মহিলা বিধবা হবেন না। আগে শুধু বিবাহিতা মহিলাদেরই সিঁদুর খেলতে দেখা যেত, এখন অবশ্য অবিবাহিতারাও মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায় ।