এলে ষোড়শীর বেশে। অধরে মধুর হেসে,
সাগ্রহে সুধালে মোরে, কেমন আছ আজ;
অশেষ তৃপ্ত হয়েছি আজ।
দিঘল কেশে বেণী করে, এলে কাছে অকাতরে,
প্রণয় কর নিবেদন, নেই দ্বিধা লাজ;
কত যে তৃপ্ত হয়েছি আজ।
অঙ্গে পরা বাসন্তি শাড়ী, চরণে নূপুর ভাড়ী,
ঝম ঝম শব্দে হেঁটে আসে কোন রূপসী।
নিপরে লাবণ্য মুখ, আঁখি ভরা কি যে সুখ,
রূপের মাধুরী যেন পূর্ণিমার শশী।
আমায় ভুলালে ধনি, তুমি যে প্রেমের খনি,
প্রেমের পরশে আমায় করেছ মহান।
আজ প্রেমের অভিষেক, উপচে পড়ে ভাবাবেগ,
দু’জন এক অভিসারে, প্রবেশ করি প্রেমাধারে,
কথা বিনিময় চলে শ্রুতিমধুর স্বরে।
হাত পরে হাত রাখি, প্রীতির পরশ মাখি,
অবগাহন করি দোঁহে সুধা সরোবরে।
নিশীথে তন্দ্রা আসে, সব স্মৃতি মনে ভাসে,
নিঁদ হারা হ’য়ে পড়ি আমি একাকী।
দু’প্রাণ এক প্রাণ হব, এক সুতোয় গাঁথা রব,
সে বাসর আসতে আরো কতটা বাকী।
মনেতে গেঁথেছি মন, অভিষেক সমাপন,
দুজন দু’জনার হব চিরদিনের তরে।
বুক ভরা নিয়ে আশা, গড়েছি যে ভালোবাসা,
প্রতিজ্ঞা করেছি দোঁহে, অন্তরে অন্তরে।
ক্ষান্ত করি কাব্য যত, তোমায় ভাবি অবিরত,
তুমি বিনা আমার জিবন মরুর মতন।
তুমি যে প্রাণ স্বজনী, তুমি যে নয়ন মণি,
হৃদয় মাঝে তোমার প্রীতি চির সযতন।
প্রেয়সী কুসুম মম, হৃদয় কানন সম,
সুবাসিত কুসুম তুমি আমার হৃদি ‘বনে।
সৌরভ ছড়াবে তুমি, উপভোগ করব আমি,
প্রেম সাধন সফল হবে দু’টি জীবনে।
প্রেম হোক ঘোর অতি, অনন্ত হোক দম্পতি,
জিবন যাপিত হোক সুখের প্লাবনে।
তরুণ তরুণী মাঝে, প্রেম আসুক জিবনে যৌবনে।
জিবন জিবনের জন্য, না হোক তা নগণ্য,
এই বিধান রক্ষা করতে শপথ করি আজ,
তাতেই তৃপ্ত হব যে আজ।
নিষ্কলঙ্ক প্রেম মানি, লেশ মাত্র নয় গ্লানি,
এই রীতি অনুসরণ হোক সবার কাজ-
তাতেই তৃপ্ত হব যে আজ।।